মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া ফুটবলার বাবুল গুমের মর্মস্পর্শী কাহিনী

ফারুক মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে বাবুল । ঢাকা স্পোটিং ক্লাবের তরতাজা তরুণ ফুটবলার। পুরোনো ঢাকার বকসি বাজার এলাকার ক্রীড়া প্রেমিক, ফুটবলার, সমাজসেবক ও ছাত্রসংগঠকদের কাছে তিনি জিমন্যাস্ট বাবুল ভাই নামেই পরিচিত ছিলেন।১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কথা। বকশি বাজার আলিয়া মাদ্রাসার খেলার মাঠের এই টগবগে তরুণ ছিলেন বোরহানউদ্দিন কলেজের ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগ প্যানেলের নির্বাচিত ক্রীড়া সম্পাদক। স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা তরুণ সংগঠক। বাবা দবির উদ্দীন আহমেদ মৃধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর বাসভবন ছিলো সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের অডিটরিয়ামের স্থানটিতে। তাদের আদিবাড়ি ঢাকার মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি। প্রচুর সম্পদ ও ধর্নাঢ্য পরিবারের দবির উদ্দীনের ছয় ছেলে, তিন মেয়ের প্রায় সকলেই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। ফুটবল, সাঁতার, এ্যাথলেট হতে শুরু করে পরিবারের সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসের কারণে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দবির উদ্দীনের স্ত্রী জেবুন ন্নেসা মাতুয়াইলের খান বাড়ির মেয়ে। তিনি ছিলেন সাঁতারু। পরিবারের অষ্টম সন্তান সবার আদরের মেয়ে সুলতানা আহমেদ খুকি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ড মেডেলিস্ট ব্লু পাওয়া সেরা এ্যাথলেট। এক কথায় বলতে গেলে স্পোর্টস ফ্যামিলি।

স্বাধীনতার পর সুলতানা আহমেদ খুকি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বিয়ের মেহেদী রং মুছবার আগেই জাতির জনকের পরিবারের সঙ্গেই ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে শহীদ হন।

১৯৭১ সালের কথা। দেশের বিভিন্ন জেলাগুলো পাকিস্তানি বাহিনীর দখলমুক্ত করে বাংলার সূর্য সন্তানরা যখন রাজধানী ঢাকা জয়ের পথে এগোচ্ছে আর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী যখন নিজেদের নিশ্চিত পরাজয়ের গহ্বরে পতিত হওয়ার অন্তীম লগ্নে পৌঁছে যাচ্ছেন তখনই এদেশে থাকা তাদের দোসরদের সহায়তায় বাংলার মেধাবী কৃতি সন্তান, বিভিন্ন পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবী হত্যার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে। শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকদের পাশাপাশি বাঙ্গালী মেধাবী ও উদীয়মান ক্রীড়াবিদদেরও হত্যায় ছক তৈরী করে তার বাস্তবায়ন শুরু করে। আর এ কাজে সহায়তা করেন এদেশীয় তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার বকসি বাজারের উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ফুটবলার-জিমন্যাস্ট বাবুলকেও তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আজও বাবুলের আর খোঁজ মেলেনি।  অসুস্থ দবির উদ্দীনের পঞ্চম সন্তান ফারুক মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে বাবুলকে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর দুপুরের খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের বাঙ্গালী দোসররা তুলে নিয়ে যায়।

বায়ান্ন বছরের আগের সেই মর্মস্পর্শী ঘটনার বর্ণনায় বেঁচে থাকা বাবুলের ছোট ভাই গোলাম আহমেদ টিটো বললেন, আমার বয়স তখন ১০/১১ হবে। বাবুল ভাই টাইমলি খাবার খেতেন। দুপুরে তার খাবারের টাইম ছিলো ঠিক ১টা। মাকে ভাত খাবো বলে নিজেই কিচেন থেকে প্লেট নিয়ে ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বাড়ির প্রধান ফটকের গেটে শব্দ। বাড়ির অপ্রস্তুত সবাই আতংকিত, এই সময় তো কেউ আসার কথা নয়। গেট খুলে দিতেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সঙ্গে থাকা ১০/১২ জন বাঙ্গালী যাদের সকলের মুখই রুমাল দিয়ে ঢাকা। একে একে ঘরে প্রবেশ করে। আমরা এ সময় অসুস্থ বাবাকে বাথরুমে গোসল করাচ্ছিলাম। ওরা আমাদেরকে লাইন করে ঘরে থেকে বের করে বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজের অডিটরিয়ামের সামনের প্রধান সড়কে নিয়ে আসে। এরপর প্রত্যাকের নাম জানতে চায়। নাম শুনে শুনে আমাদের বাড়ির ভেতরে পাঠিয়ে দিচ্ছিছিলো, সিরিয়ালে বাবুল ভাই নিজের নাম বলতেই তাকে আলাদা করে দাড় করায় এবং গাড়িতে তুলে নেয়। বাকী সবাইকে বন্দুক তাক করে বাড়ির ভেতরে ঢুকে যেতে বলে। এ সময় আমার মা চিৎকার করে তাদের কাছে জানতে চায়, “তোমরা আমার বাবুলকে কোথায় নিয়ে যাও?“ কেউ কোনো উত্তর দেয়নি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গাড়িটি আলিয়া মাদ্রাসার দিকে চলে যায়। বাবুল ভাইয়ের পরনে ছিলো লুঙ্গি ও সেন্ডো গেঞ্জি। ভাইয়ের সঙ্গে সেই শেষ দেখা, আর ফিরে আসেনি। ৫২ বছর আগে বড় ভাই গুম হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে গোলাম আহমেদ টিটোর কন্ঠ কখনো বাকরুদ্ধ আবার কখনো অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ছিলো।

গোলাম আহমেদ টিটো বলেন, বাবুল ছিলেন প্রতিভাবান একজন ফুটবলার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তুর্য ছিলো তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ ছাড়া ইন্টার স্কুল-কলেজ খেলাধুলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। বকসিবাজারে পাড়ার বন্ধুদের মধ্যে আলী আসগার ঝন্টু ভাই ছিলেন বাবুল ভাইয়ের সহপাঠি। ষাট বছরের প্রবীন টিটো পরিবারের সবার ছোট সন্তান।

৫২ বছর আগে ভাই গুমের স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ১২ ডিসেম্বরের আগে জুলাই মাসেও একবার মাতুয়াইল থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভাইকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। তখন পাকিস্তান আর্মীতে থাকা খেলাধুলা সঙ্গে জড়িত এমন অফিসারদের অনেকেই বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে যান আর্মীদের কাছে। ওরা বাবুল ভাইকে একজন জিমন্যাস্ট, ভাল ফুটবলার এবং ক্রীড়াবিদ হিসেবেই চিনতেন। তাই তারা খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছিলো।

৫২ বছর আগের কিশোর গোলাম আহমেদ টিটো তার বড় ভাইকে গুমের কারণ হিসেবে মনে করেন, প্রথমতঃ বাবুল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো এবং স্বাধীনতার পক্ষের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলো। দ্বিতীয়তঃ পাড়া-মহল্লায় বাবুল ভাই কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার বিষয়টি স্বাধীনতা বিরোধীদের অনেকেই জানতেন। এ ছাড়া তিনি একজন উদীয়মান ফুটবলার ও কৃতি জিমন্যাষ্ট ছিলেন। তাই পাকিস্তানিরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি প্রতিভাবান ও কৃতি ক্রীড়াবিদদের হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি পোলভোল্টার মিরাজউদ্দীনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার কথা বলে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো।

গোলাম আহমেদ টিটো বলেন, বাবুল ভাই ঢাকার ফুটবল লীগে কোন ক্লাবের হয়ে খেলেছিলো কিনা এটা তার মনে নেই। তবে তুর্য (সালাউদ্দিন) ভাই বাবুল ভাইকে বলতেন আমি তোমার মতো ভাল ফুটবলার হতে চাই, আমাকে তুমি খেলা শিখাবা। টিটোর দৃঢ় বিশ্বাস, আজ বাবুল ভাই বেঁচে থাকলে হয়তো ডিফেন্ডার হিসেবে নান্নু ভাই কিংবা মুন্নার মতো দেশসেরা ফুটবলার ও জিমন্যাস্ট হতেন। আর পোলভোল্টে মিরাজ অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসে দেশের জন্য স্বর্নপদক জয় করতেন। কিন্তু যুদ্ধে পরাজয় আঁচ করতে পেরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের পরিকল্পিত ভাবেই হত্যা করেছে।

গোলাম আহমেদ টিটো বলেন, আমার মা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন বাবুল একদিন ফিরে আসবে। তার সন্তান বেঁচে আছেন। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিন দশক তিনি আমাদের বাড়ির প্রধান গেট রাতে বন্ধ করতে দিতেন না। তার এই বিশ্বাস যে, তার সন্তান বাবুল ফিরে আসবেই।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর আমার বাবা ও বড় ভাইয়েরা পাকিস্তানি বাহিনীর পরিত্যাক্ত সেনা ক্যাম্পগুলো, টর্চারসেল, আলিয়া মাদ্রাসা, লালবাগ কেল্লার ভেতরে থাকা পাকিস্তানীদের সেনা ক্যাম্প, মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ কেন্দ্র হতে শুরু করে যেখানেই লাশ ও কংকাল পাওয়া যেতো সেখানেই ছুটে গিয়েছিলেন। লালবাগ কেল্লার ভেতর কয়েকটি লাশ পাওয়া গেলেও সেখানে বাবুলকে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আলিয়া মাদ্রাসার ক্যাম্পে কিছু রাজাকারের আইডি ও অনেক ছবি পাওয়া যায়। সেই ছবি থেকে আমার মা একটি ছবি সনাক্ত করেছিলেন যে, আমাদের বাড়িতে বাবুলকে তুলে নেয়ার সময় এই লোকটির মুখ থেকে রুমালটি সরে গিয়েছিলো, মা তার চেহারাটি মনে রেখেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।

টিটো বলেন, আমরা শুধু মীরপুর যেতে পারিনি, কারণ তখনও মীরপুর মুক্ত হয়নি। স্বাধীনতার পরে শেখ কামাল ভাই মুক্তিযুদ্ধ থেকে দেশে ফিরে তার বন্ধু বাবুল গুম হওয়ার বিষয়টি জানতে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা-বাবা ও আমাদের শান্তনা দিতেন এই বলে যে, বাবুল দেশের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করেছে। আমিই আপনার আরেক সন্তান। আমি তো আছি।

টিটো বলেন, স্বাধীনতার পরে আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় বাবুল ভাইয়ের ছবি দিয়ে তার সন্ধান চেয়েছিলাম। আর এগুলো সবই ছিলো আমার মা’কে শান্তনা দেয়ার জন্য। এরমধ্যে বাসার ঠিকানায় অনেক চিঠি আসে। নানান জন নানান তথ্য দেয়। একবার একটি চিঠি আসলো পত্রিকায় প্রকাশিত ছবির সঙ্গে মিল আছে এমন এই ব্যক্তিকে শ্রীপুর রেল স্টেশনে পাগল বেশে দেখা গেছে।আমরা সেই শ্রীপুর স্টেশনে তার সন্ধানে গেলে স্থানীয়রা জানান, তাকে অন্য ট্রেনে চলে যেতে দেখেছে, আবার কেউ জানান তাকে চিকিৎসার জন্য পাবনায় পাঠানো হয়েছে। পাবনায় গিয়েও বাবুলের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বাবুলের ছোট ভাই টিটোর সঙ্গে প্রতিবেদক

টিটো বলেন, শেষ পর্যন্ত বাবুল ভাইয়ের ভাগ্যে কি ঘটেছিলো, কোন ক্যাম্পে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো কেউ তা বলতে বা জানাতে পারেনি। একমাত্র যাদের পরিবারে এমন স্বজন হারানোর ঘটনা রয়েছে, তারাই বুঝতে পারেন এর কষ্ট কতটা যন্ত্রণাদায়ক।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর হাতে একটা ভাই গুম হওয়ার চার বছরের মধ্যেই আবার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট আরেক এক বোন সুলতানাকে হারাতে হয় আমাদের।

টিটো বলেন, স্বাধীনতার পর বাবুল হত্যাকান্ড নিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে এই মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারে বাবুলের বাল্যবন্ধু আলী আসগার ঝন্টু দখলদার বাহিনীর হাতে বাবুলের গুম হওয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, দেশের উদীয়মান ফুটবলার ও জাতীয় জিমন্যাস্টিসে কয়েকটি ইভেন্টেই বাবুল ছিলো সেরা। ইন্টার স্কুল- কলেজ ফুটবল, ক্রিকেটে বাবুল ছিলেন সেরা খেলোয়াড়। তবে ঢাকার লীগে কোনো দলের হয়ে ফুটবল খেলেছিলেন কিনা আমার মনে পড়ছে না।

তিনি বলেন, আপাদমস্তক একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বকশিবাজার ও আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় বাবুলের পরিচিতি ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এক যুবক হিসেবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যখন ভারত-বাংলাদেশের বৈমানিকরা পাকিস্তানী আর্মী ক্যাম্পে বিমান হামলা করছিলো তখন আলিয়া মাদ্রাসা ক্যাম্পে থাকা রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা ভারতীয় বিমান হামলাকে নানাভাবে তিরস্কার করতো। বাবুল এর প্রতিবাদ করতো। তাদের ভয় পেতো না। মাদ্রাসা মাঠে খেলা নিয়ে তাদের সঙ্গে বাবুলের বিরোধ হতো।এ কারণেই ওরা বাবুলকে টার্গেট করে দখলদার বাহিনীর কিলিং লিস্টে নাম ঢুকিয়ে দিয়েছিলো বলে তিনি মনে করেন।

বাবুলের বাল্যবন্ধু আলী আসগার ঝন্টু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের জন্য জীবন দেয়া বাবুলের নাম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কোথাও নাই। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হলেও আমাদের কৃতি প্রতিভাবান ফুটবলার বাবুলের ছবি ও নামটি কোথাও দেখা যায় না। বাবুলের খেলার আরেক সাথী বর্তমান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক খ্যাতিমান ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন তুর্য বাবুল স্মরণে কিছু না করায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

বাবুলরা ছিলেন ছয় ভাই তিন বোন। বাবা প্রকৌশলী দবির উদ্দীন আহমেদ মৃধা, মা জেবুন নেসা। ছয় ভাই এরশাদ মোঃরফিক, জাহাঙ্গীর মোঃ জসিম, আলমগীর মোঃ কবির, বোন খালেদা বানু, ফারুক মোঃ ইকবাল ওরফে বাবুল, বোন মমতাজ বেগম, গোলাম মোস্তফা, বোন সুলতানা আহমেদ খুকী ও সবার ছোট গোলাম আহমেদ টিটো।বর্তমানে দক্ষিণ শাহজাহানপুরে বসবাস করছেন।

মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সাংবাদিক খন্দকার তারেকঃ ক্রীড়াঙ্গনের জীবন্ত দলিল

ক্রীড়াঙ্গনে আজিমপুর কলোনীঃ জুডো কন্যা সুমির সাফল্যের গল্প

৫১ বছর পর পরিচয় উদঘাটন: বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার প্রতিরোধে পুলিশ নয়, প্রথম শহীদ ফুটবলার খোকন

ষাটের দশকে ফুটবলে খ্যাপের ওস্তাদ ফায়ারসার্ভিসের বিমল দাদা এখন ইতিহাসের সাক্ষী

শোকাবহ আগস্ট : আবাহনীর খেলোয়াড়দের রাতের অন্ধকারে অনুশীলন করতে হতো

পঞ্চাশ দশকঃ কায়দে আজম ট্রফিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার মিন্টুর গল্প

ফুটবলার ইকবালের স্বপ্ন ভেঙেছে একটি রাফ টেকলিং

গ্যালারি মাতানো পাগলা মুজিবর আবাহনী সমর্থক হওয়ার পেছনের গল্প – CTG SANGBAD24

বাংলাদেশের ফুটবলে ভুলে যাওয়া নাম সত্তুর দশকের শার্প শ্যুটার সুলতান – CTG SANGBAD24

ঢাকার ফুটবল উন্মাদনাঃ কসাইদের মোহামেডান আর রহমতগঞ্জের ডাইলপট্টির কথা – CTG SANGBAD24

বাংলাদেশের প্রথম ফুটবল লীগে আবাহনীর খেলোয়াড় টিপু’র দূর্বিষহ স্মৃতি – CTG SANGBAD24

পঞ্চাশের দশকে ঢাকার ফুটবলে রক্ষণ ভাগের দুই প্রহরীর গল্প – CTG SANGBAD24

ফুটবলার তৈরীর পাঠশালা গ্রামীণ জনপদ, এখানে নজর দিতে হবে : আসকর খান বাবু – CTG SANGBAD24

 

আরও পড়ুন