৫১ বছর পর পরিচয় উদঘাটন: বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার প্রতিরোধে পুলিশ নয়, প্রথম শহীদ ফুটবলার খোকন

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় তার নাম পরিচয় নেই। নেই শহীদদের তালিকায়ও। ফুটবল সংগঠকদের অনেকেই জানেন না একজন ফুটবলারের শহীদ হওয়া ও বীরত্বের গল্প। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারের বাড়ি ঘেরাও করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তখন পাকিস্তানি বাহিনীর গাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধুর জীপের সামনে দাড়িয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ধানমণ্ডি ৭ নাম্বার রোডের আবু জাফর আকরাম উল্লাহ খোকন নামে এক টগবগে তরুণ ফুটবলার, সংগঠক ও বঙ্গবন্ধু পাগল সৈনিক। তাৎক্ষণিক পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রাশ ফায়ারে ঘটনাস্থলেই তিনি শহীদ হয়েছিলেন। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যায় প্রথম শহীদ হয়েছিলেন এই তরুণ ফুটবলার, যিনি ধানমন্ডিবাসীর কাছে খোকন নামেই পরিচিত ছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ফুটবলার খোকনের শহীদ হওয়ার গল্পটি নেই ইতিহাসের পাতায়। ধানমন্ডি ৭ নাম্বার রোডের বাসিন্দা খোকন ছিলেন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাগল এক তরুণ। কোন দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও খোকনের চিন্তা-চেতনার সবকিছুই ছিলো বঙ্গবন্ধুকে ঘিরেই। বঙ্গবন্ধুও তাকে স্নেহ করতেন নিজ সন্তানের মতো। বঙ্গবন্ধু যেখানে যেতেন খোকন সেখানেই যেতেন লিডারের পিছু পিছু। খোকনের অকৃত্রিম ভালবাসার কারণে বঙ্গবন্ধুও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন।

ক্রীড়া সংগঠক ও ফুটবলার খোকনের শহীদ হওয়ার স্মৃতিচারণ করছিলেন তারই বড় বোন সাতাশি বছর বয়স্ক কুটনৈতিক তাহ্ মিনা খান ডলি। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং তারিখে ধানমন্ডির ৭ নাম্বার রোডের নিজ বাসভবনে ছোট ভাই খোকনের শহীদ হওয়ার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বার বার অশ্রুসজল হয়ে পড়েন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তার সঙ্গে মা’কে সঙ্গে নিয়ে দেখা করেন তাহ্ মিনা খান ডলি। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু বলছিলেন, “খোকনের মা আমার সামনে আমার খোকনকে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেললো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমি কিছুই করতে পারলাম না“। সেই দিন বঙ্গবন্ধু”র কাছ থেকেই প্রথম জানতে পারেন খোকন কিভাবে শহীদ হয়েছিলেন ৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে। তাহ্ মিনা খান ডলি ৫১ বছর আগের এই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিজ ভাই খোকনকে একজন বঙ্গবন্ধু পাগল আখ্যায়িত করে ডলি বলেন, ৭১ এর মার্চ, সারাদেশ অসহযোগ আন্দোলনে উত্তাল, খোকন তখন রাতে বাসায় এসে আমার স্বামী জি.এ.খান ( গিয়াস আহমেদ খান) এর কাছে এসে বলে দুলাভাই তোমার অস্ত্রগুলো দাও, আলমারি খুলে সে অস্ত্র নিতে চাইলে গিয়াস বলে আমার নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র অন্যকেউ ব্যবহার করলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। এরপর সে আলমারি থেকে একটি বড় নেপালী ভোজালি নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে। তখন রাত ১১কি সাড়ে ১১টা হবে। সেই যে বাড়ি থেকে বের হয়, আর ফিরে আসেননি। এরপর সারা রাত বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বেশ চিন্তিত ছিলাম। ততক্ষণে পাকিস্তানি বাহিনী রাস্তায় নেমে গেছে। চারপাশে গোলাগুলির শব্দ। আতংক ও দুশ্চিন্তায় রাত যায়। পরদিন ২৬ মার্চ কারফিউ। সকালে এক লোক দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকলো এবং এটা পানাউল্লাহ সাহেব ও আবু জাফর আকরামউল্লাহ খোকনে বাড়ি কিনা জানতে চাইলো। আমরা হ্যাঁ বলার পরই সে জানালো খোকনকে রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মেরে ফেলছে। তার লাশ শুক্রাবাদ তার বন্ধু আলিম ও পাকা ভাইদের বাসায় নিয়ে রাখা হয়েছে। এ খবর শোনেই বাড়িতে শোকাবহ পরিস্থিতি তৈরী হয়। বাহিরে কারফিউ। আমরা অপেক্ষা করছিলাম কারফিউ শিথিল করে কিনা। পরদিন ২৭ মার্চ সকালে কারফিউ শিথিল করলে আবু জাফর আকরামউল্লাহ খোকনে লাশ আমাদের ৭ নাম্বার রোডের এই বাড়িতে নিয়ে আসি। পাড়ার বন্ধু-বান্ধবরা মিলে লাশ গোসল করিয়ে সাত নাম্বার রোডের মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। খোকনের শরীরে অসংখ্য গুলী ও ডান হাত বিচ্ছিন্ন ঝাঁজরা অবস্থায় ছিলো বলে বলছিলেন শহীদ আবু জাফর আকরামউল্লাহ খোকনে বড় বোন তাহ্ মিনা খান ডলি।

শহীদ খোকনের বড় বোন তাহ্ মিনা খান ডলি প্রতিবেদক ইকবাল কবিরের কাছে বর্ণনা করছেন খোকনের শহীদ হওয়ার ঘটনা

তাহ্ মিনা খান ডলি বলছিলেন, বঙ্গবন্ধু খোকনের জন্য খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। তার পাশে থাকা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের শান্তনা দিচ্ছিলেন, এই বলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে খোকন। ধানমন্ডি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই খোকন জড়িত ছিলো।ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খোকন খেলেছেন দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে। পাশাপাশি ক্লাবের ট্যান্ট স্থাপন হতে শুরু করে ক্লাবের সাংগঠনিক বিষয়ও খোকন দেখতেন।

খাকি পোষাক পরে খোকনের শহীদ হওয়া প্রসঙ্গে ডলি খান বলেন, আমার স্বামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী মেজর ছিলেন।বাঙ্গালী হওয়ায় তার চাকরি চলে যায়। খোকনের ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো একজন সেনা অফিসার হওয়া। তাই সে পায়ে আর্মির বুট, গায়ে খাকি পোশাক পরে ঘুরতো। ঘটনার দিন রাতেও সে খাকি পোশাক আর বুট পরে বের হয়েছিলো। এতো দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো যে, তার হাতে কোন সময়ই ছিলো না।

দুই বোনের মাঝে খাকি পোশাক পরিহিত খোকন

ডলি খান বলেন,বঙ্গবন্ধু তার প্রতি খোকনের অন্ধ ভালবাসা দেখে তাকে পাড়ার সব বন্ধুদের নিয়ে ধানমন্ডি এলাকা পাহাড়া দেয়ার দায়িত্ব দেন, যে এই এলাকায় থাকা অবাঙ্গালী ও পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের বাঙ্গালীদের কোন ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে অবাঙ্গালীদের প্রতি নজরদারি রাখতে। তাই খুব দায়িত্বশীলতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গেই মার্চ মাসের প্রথম থেকেই নজরদারীর কাজটি করছিলো। রাতে এলাকায় জীপ নিয়ে মহড়া দিতো। দিনের বেলা ধানমন্ডি ও ৪ নাম্বার রোডের মাঠে বন্ধুদের ডামি রাইফেল নিয়ে ট্রেনিং দিতো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য। কিন্তু দূর্ভাগ্য খোকনের আর মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া হয়নি বলছিলেন, তাহমিনা খান ডলি।

খোকনের বাবা ধানমন্ডি ৭ নাম্বার রোডের পানাউল্লাহ ছিলেন ইষ্ট পাকিস্তান সিএসপি অফিসার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ছিলেন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন চেয়ারম্যান ও গণপূর্ত সচিব। তাই ধানমন্ডিতে ছিলো তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। ডলি খান বলেন, আমাদের বাড়ি নির্মাণের সময় বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী খুঁজে পেতাম না, পরে জানতে পারি খোকন ধানমন্ডি ক্লাব ট্যান্ট নির্মাণের জন্য নিয়ে গেছে। বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ক্লাবের কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ধানমন্ডি ক্লাব মাঠের পাশে খোকনের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি শহীদ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিলো। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজ সেই স্মৃতিফলকটিও নেই। ৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারে বাধা দিতে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর গনহত্যার প্রথম শহীদ হন ফুটবলার সংগঠক খোকন।

১৯৭০ এ ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে বাঁ দিক থেকে দাঁড়ানো ২য় খোকন

খোকনের লাশ যেভাবে সনাক্ত হলো : শহীদ খোকনের বন্ধু আলিমের বড় ভাই ক্রীড়া সংগঠক সৈয়দ মাহবুব সোবানী পাকা সুদূর টরেন্টো থেকে এই প্রতিনিধিকে সেই রাতের ভয়াবহতার বর্ণনায় জানান, মার্চের প্রথম থেকেই অসহযোগ আন্দলনের সময় ধানমন্ডি ৮ নং রোডের গেরিলা যুুদ্ধের মহরা দিত খোকন।  ২৫ মার্চ রাতে খোকন তার বন্ধু হিরু, ধানমন্ডি ৭ নং রোডের রুহেল ও ধানমন্ডি প্রয়াত জার্মান প্রবাসি ইয়াকুব (৪ নাম্বার রোডের ইয়াহিয়া মোহাম্মদের ছোট ভাই) সঙ্গে ছিল।  ২৫মার্চ রাতে পাকিস্তান পাকিস্তানী সেনাবাহিনী খোকনকে হত্যা করে ৩২ নাম্বার রোডের বিপরিত দিকে তৎকালিন ওকে স্পোর্টসের কারখানার সামনে বর্তমান নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ এর পাশে ফেলে রাখে । পরদিন ২৬শে মার্চ কার্ফু চলাকালিন আমার ছোট ভাই ডেনমার্ক প্রবাসি মুক্তিযোদ্ধা আলিম, প্রয়াত ফুটবল খেলোয়াড় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (সংবাদ পাঠিকা চৌধুরী রীনার স্বামী) নাসির ও আমার খালাত ভাই আমেরিকা প্রবাসি গোলাম সালেক বাবু রাস্তার অবস্থা দেখতে এসে খোকনের লাশ দেখতে পায়। তখন তারা লাশটি শুক্রাবাদ মসজিদে নিয়ে যায় কিন্তু এলাকার কিছু লোকের আপত্তির কারনে রাখা যায়নি। মসজিদের ইমামসহ সবাই পাকিস্তানি বাহিনী এখানে লাশ আছে জানতে পারলে পুরো শুক্রাবাদ এলাকায় আগুন দিয়ে পুরিয়ে দিবে এমন আশংকার কথা বলে মসজিদে লাশ রাখতে অস্বীকার করেন। পরে আমাদের শুক্রাবাদের বাসায় নিয়ে লাশ রাখি এবং ইট স্টক দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয় যাতে কেউ বুঝতে না পরে এখানে লাশ আছে। এরপর কার্ফু এর মধ্যেই এক ফেরীওয়ালা রাস্তা ক্রোলিং করে করে খোকন নিহত হওয়ার খবরটি তাদের বাসায় জানিয়ে দেয়। ২৭মার্চ কার্ফু শিথিল করলে লাশ ৩২নং রোডের বঙ্গবন্ধু বাড়ির সামনে দিয়ে ধানমন্ডিতে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ নাম্বার রোডের তৎকালে বেড়া দিয়ে নির্মিত মসজিদটিতে জানাজা শেষে আজিমপুরে দাফন করা হয় ।

ধানমন্ডি ৪ নাম্বার রোডের প্রবীন বাসিন্দা খোকনের বন্ধু প্রয়াত ইয়াকুবের বড় ভাই ইয়াহিয়া মোহাম্মদ সেই ঘটনার বর্ণনা করছেন প্রতিবেদক ইকবাল কবিরের কাছে

বর্তমানে ধানমন্ডির ৪ নাম্বার রোডে বসবাসকারী ৭০ বছরের প্রবীন ইয়াহিয়া মোহাম্মদ সেই ২৫ মার্চ রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, খোকন আমার ছোট ভাই প্রয়াত ইয়াকুবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও আমরা খেলাধূলা একসঙ্গেই করতাম। খোকন একজন দক্ষ সংগঠক ও ফুটবল খেলোয়াড় এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধু ভক্ত ছিলেন। আমরা জানতে পারি ওই রাতে খোকন জীপ চালিয়ে কলাবাগান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের বাসায় গিয়ে তার গাড়িটি রাখেন এবং তাকে ছাড়া কাউকে যেন গাড়িটি না দেয়া হয় এই কথা বলেন। এ সময় ওই বাসার ভাড়াটিয়া দেওয়ান লুৎফুর রহমানের ছেলে দেওয়ান আজিজুর রহমানকে বললেন, ৩২ নাম্বারে লিডার একা আমাকে সেখানে যেতেই হবে। এ সময় ওরা নিষেধ করে ৩২এ যেতে যে পাকিস্তানি সেনারা রাস্তায় নেমে গেছে গুলি করছে। কিন্তু খোকনের একটি ডায়লগ লিডার একা, আমাকে যেতেই হবে এই বলেই খোকন বের হয়ে যায়। আর ফিরে আসেনি।

অশ্রুসিক্ত কন্ঠে ইয়াহিয়া মোহাম্মদ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমরা পরে ডিএল সাহেব ও তার ছেলেদের কাছ থেকে এ ঘটনা জানতে পারি। তিনি আরও বলেন, খোকন আর্মির পোশাক পরতে পছন্দ করতো। তার সখই ছিলো তার দুলাভাই এর মতো একজন আর্মি অফিসার হওয়া। তাই দুলাভাই (ডলির স্বামী) এর খাকি আর্মি পোশাক, বুট ও অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে রাতে ধানমন্ডি এলাকায় জীপ নিয়ে টহল দিতো। তিনি ৫১ বছর আগের স্মৃতিচারণে বার বার অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

ইয়াহিয়া মোহাম্মদ বলেন, ওই সময় আমরা ইউনাইটেড ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ম্যানেজারকে বলে রাতে তাদের ব্যাংকের জীপটি নিয়ে এলাকায় নজরদারী করতাম আর ঘুরে বেড়াতাম। খোকন নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করতো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি তার ছিলো অগাধ ভালবাসা, এক কথায় বঙ্গবন্ধু পাগল। তাই ৭১ এর ২৫ মার্চ রাতেই ছুটে গিয়েছিলো ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর কিছু হয়ে যায় নাকি এই চিন্তায়। তিনি বলেন, দূর্ভাগ্য আজ ধানমন্ডি ক্লাবের এই তরুণ ফুটবলার, সংগঠক, বঙ্গবন্ধু পাগল খোকনের স্মৃতিস্তম্ভটিও নেই। ইয়াহিয়া বলেন, খোকনের দুই ভাগ্নে ডাঃযোয়াদ আবাহনী ক্রীড়া চক্রের ফুটবল দলের চিকিৎসক ছিলেন, তার ভাই ফুয়াদ আবাহনী ক্রীড়া চক্রের ফুটবলার ছিলেন।

সেই দিন কবরস্থানে যারা গিয়েছিলেন : খোকনের খেলোয়াড় বন্ধু হতে শুরু করে ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দারা বিশেষত: ক্লাব ও ফুটবল এর সাথে জড়িত সবাই লাশের সঙ্গে গিয়েছিল। যাদের মধ্যে নেয়ামতউল্লাহ সাবু, রহমতউল্লাহ, নুরুল্লাহ, সালামত, আকবর, বাবুল, সুলতান, মাসুদ, হাফিজ খাদেম, হারুন, হাবিব, মাখন,হাফেজ মাওলানা মো:জাকারিয়া, মো:ইয়াহিয়া, মো:ইয়াকুব, মো:ইলিয়াস, মো:আব্দুল্লাহ, মো:শোয়েব, আজিম শাহ, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ, আলিম শাহ, মাহফুজুর রহমান রাণা, মাহমুদ হোসেন, ওসমান, রফিক, ফুয়াদ, যোয়াদ, পাকা, আলিম, রুমি, তৌফিক সুলতান মাহমুদ, আবু নাসির ও
খোকনের আত্নীয়স্বজন।এ ছাড়া তৎকালীন সময়ে আজিমপুর কলোনীতে থাকা ফুটবলার সান্টুও আজিমপুর কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম ফুটবল জয়ের নায়ক স্ট্রাইকার হাসান এখন যেমন আছেন

ষাটের দশকে ফুটবলে খ্যাপের ওস্তাদ ফায়ারসার্ভিসের বিমল দাদা এখন ইতিহাসের সাক্ষী

শোকাবহ আগস্ট : আবাহনীর খেলোয়াড়দের রাতের অন্ধকারে অনুশীলন করতে হতো

পঞ্চাশ দশকঃ কায়দে আজম ট্রফিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার মিন্টুর গল্প

ফুটবলার ইকবালের স্বপ্ন ভেঙেছে একটি রাফ টেকলিং

গ্যালারি মাতানো পাগলা মুজিবর আবাহনী সমর্থক হওয়ার পেছনের গল্প – CTG SANGBAD24

বাংলাদেশের ফুটবলে ভুলে যাওয়া নাম সত্তুর দশকের শার্প শ্যুটার সুলতান – CTG SANGBAD24

ঢাকার ফুটবল উন্মাদনাঃ কসাইদের মোহামেডান আর রহমতগঞ্জের ডাইলপট্টির কথা – CTG SANGBAD24

বাংলাদেশের প্রথম ফুটবল লীগে আবাহনীর খেলোয়াড় টিপু’র দূর্বিষহ স্মৃতি – CTG SANGBAD24

পঞ্চাশের দশকে ঢাকার ফুটবলে রক্ষণ ভাগের দুই প্রহরীর গল্প – CTG SANGBAD24

ফুটবলার তৈরীর পাঠশালা গ্রামীণ জনপদ, এখানে নজর দিতে হবে : আসকর খান বাবু – CTG SANGBAD24