বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপের জালিয়াখালী নতুন বাজারে মধ্যরাতের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫টি দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল ও গ্যারেজে থাকা ১২টি অটোরিকশা-টমটম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ও অটোরিকশা মালিকরা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক দু’টার দিকে জালিয়াখালী বাজারের উত্তর পাশে গোদার পাড় সংলগ্ন জলকদরের বাঁধের পশ্চিম পাশে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে সর্বস্ব পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা হলেন অটো-রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. সিকান্দার, মুদির দোকানদার মো. হাশেম সাওদাগর, বিস্কুটের (গোডাউন) ডিলার মো. হেলাল, চাউলের দোকানদার মো. শফি আলম, ধান ও ভূসির দোকানদার মো. মোস্তাফা আলী। ক্ষতিগ্রস্থ অটোরিকশা-টমটমের মালিকরা হলেন আবুল কাশেম (অটোরিকশা), মো. ইসমাইল (টমটম), জিয়াউর রহমান (অটোরিকশা), মো. ছাবের (অটোরিকশা), রবিউল আলম (অটোরিকশা), আব্দুল হাকিম (অটোরিকশা), শাহ আলম (অটোরিকশা), মনির আহমদ (টমটম), মো. তরিকুল ইসলাম (অটোরিকশা), মো. ফখর উদ্দিন (অটোরিকশা), মো. নুরুল গনি (টমটম), মো. হেলাল (টমটম)।
মো. সিকান্দারের অটোরিকশা গ্যারেজের দোকান থেকে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করছে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। মধ্যরাতে অগ্নিকান্ডের ফলে কোন কিছুই রক্ষা করার সুযোগ হয়নি তাদের।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার নুরুল বাশার বলেন, ‘অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রæতই ঘটনাস্থলে পৌছি। আমাদের দু’টি পৃথক ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থদের তথ্যমতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লক্ষাধিক টাকা।

আরও পড়ুন