পঞ্চাশ দশকঃ কায়দে আজম ট্রফিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার মিন্টুর গল্প
পঞ্চাশ দশকের শেষ সময়।ঢাকার ক্রীড়াঙ্গনে তখন লড়াইটা হতো বাঙ্গালী আর অবাঙ্গালীর।হোক না সেটা এ্যাথলেট, ফুটবল, হকি বা ক্রিকেটের লড়াই। এমনি এক লড়ায়ে কোটি কোটি বাঙ্গালীকে গৌরবান্বিত করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ক্রিকেটার মোঃআজিজুর রহমান চৌধুরী ওরফে মিন্টু। ১৯৫৭-৫৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অবিভক্ত পাকিস্তানের কায়দে আজম ট্রফির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শক্তিশালী ইষ্ট পাকিস্তান বি(সাদা) দলের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে ১০ টি উইকেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গোটা বাঙ্গালীজাতিকে গৌরবান্বিত করেছিলেন। প্রায় নব্বই বছরের প্রবীণ ক্রিকেটার মোঃআজিজুর রহমান চৌধুরী ওরফে মিন্টু ৬৪ বছর আগের এই গৌরবময় দিনটি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

ঢাকার মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এর নিজ ফ্লাটে ক্রীড়া জগতের সঙ্গে ছয় দশকের বেশী বছর আগের স্মৃতিচারণ করছিলেন মিন্টু। বয়স, শারীরিক অসুস্থতায় সাফল্যের স্মৃতিগুলো মনে করতে পারছিলেন না সঠিকভাবে। খুব কষ্ট হচ্ছিল। তার ছেলেরা পাকিস্তান উইকিপিডিয়ায় তাদের বাবার গৌরব গাথা সাফল্যের তথ্য গুলো বাবার কাছে উপস্থাপন করে ৬৪ বছরের পেছনে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন মোঃআজিজুর রহমান মিন্টুকে। কায়দে আজম ট্রফির ইতিহাসের পাতায় তিনি এখনো উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলোকিত করছেন বাঙ্গালী জাতিকে।

সেই গৌরবময় সাফল্যের কথা :: ততকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে অনুষ্ঠিত হতো কায়দে আযম ক্রিকেট ট্টফি।সাউথ জোনে করাচি এ, করাচি সি,সিন্ধু এ,সিন্ধু বি, ইষ্ট জোনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইষ্ট পাকিস্তান এ ও ইষ্ট পাকিস্তান বি দল। নর্থ জোনে পেশোয়ার, পাঞ্জাব, পাঞ্জাব বি এবং রেলওয়েস দল। সেন্ট্রাল জোনে বাহ্ওয়ালপুর,করাচি বি, পাঞ্জাব এ, এবং কোয়েটা এই চার জোনে ১৫ টি আঞ্চলিক দল অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইষ্ট জোনে পূর্ব পাকিস্তান এ ও বি দলের মুখোমুখি হয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বাহ্ওয়ালপুরে গিয়ে ছিলো চূড়ান্ত পর্বে খেলতে।

সেই ১৯৫৭-৫৮ সালের কথা। ঢাকা স্টেডিয়ামে তখন কায়দে আযম ট্রফির পূর্ব জোনের খেলা। পূর্ব জোনে পূর্ব পাকিস্তান এ ও বি দল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ব পাকিস্তানের দুটি দলই ছিলো শক্তিশালী। পাকিস্তানের টেস্ট দলের পাইপ লাইনে থাকা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ই ছিলেন এই “এ” ও “বি” দলে। লুৎফুর রহমান মাখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তেমন গুরুত্বই দেয়নি। ঢাবি”র ক্রিকেট দলটিকে। তবুও আমাদের বাঙ্গালী খেলোয়াড়রা হতাশ হননি।কোনরকম প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামে ঢাবি’র ক্রিকেট দল। পূর্ব পাকিস্তান “বি'”দল যখন মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৫২ রানে তাদের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলো তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনায়ক লুৎফুর রহমান মাখন দৃঢ় আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বল তুলে দেন আউট সুইং পারদর্শী মিডিয়াম পেস বোলার মোঃ আজিজুর রহমান মিন্টুর হাতে। মিন্টু যেন পাকিস্তান দলের জমদূত হয়ে আবির্ভূত হলেন। ১২.২ ওভার বল করে ৫টি মেডেন ওভারসহ মাত্র ১৩ রানে ৬টি উইকেট দখল করে ৯৪ রানে পূর্ব পাকিস্তান ‘বি” দলের প্রথম ইনিংসের ইতি টেনে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের এই অভাবনীয় সাফল্য ঢাকা স্টেডিয়ামের কাঠের গ্যালারীতে দর্শকরা আনন্দে মেতে উঠেন। মিন্টুর ৬টি উইকেটের মধ্যে ৪টি সরাসরি বোল্ড ও নিজেই দুটি কট এন্ড বল আউট করে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। সেই দিন তার এই সাফল্য গোটা বাঙ্গালী জাতির গৌরবের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিলো। ২য় ইনিংসেও ৭.৩ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন। পূর্ব পাকিস্তান “বি” দলের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইনিংস ও ৪৪ রানে জয়ী হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৮ সালের ৭, ৮ ও ৯ জানুয়ারী তিন দিনের খেলার শেষ দিন এই গৌরবময় বিজয়ের পর ক্রিকেট পাগল সমর্থকরা মাঠে ঢুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের কাঁধে তুলে আনন্দ প্রকাশ করার সেই বর্ননা দিতে গিয়ে প্রায় নব্বই বছরের প্রবীণ ক্রিকেটার মিন্টু আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, সেই দিন মাঠে ঢুকে ৭১ এ শহীদ হওয়া মোস্তাক আমাকে জড়িয়ে ধরে কাধে তুলে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন।সেই সোনালী স্মৃতি আজও তাকে প্রায় সাড়ে ছয় দশক পেছনে ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় ফিরিয়ে নেয়। পূর্ব পাকিস্তান “এ” দলকেও হারিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইষ্ট জোনে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চূড়ান্ত পর্বে বাওয়ালপুর খেলতে যায়।১৯৫৮ সালের ৮থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী ৩দিনের এই খেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনিংস ২৫৫ রানে হেরে যায়।
প্রবীণ ক্রিকেটার মোঃআজিজুর রহমান চৌধুরী মিন্টু বলছিলেন, আমাদের বিপক্ষে বাহ্ওয়ালপুরে খেলেছিলেন। টেস্ট খেলোয়াড় ইসরা আলী, মোঃ রমজানসহ আরও বেশ কয়েকজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের তৎকালীন অধিনায়ক লুৎফুর রহমান মাখন ক্রীড়া জগতকে বলেন, আমরা ঢাকায় অল্প কিছু দিন মেটে অনুশীলন করেছি। আর সেখানে গিয়ে আমাদের খেলতে হয়েছে পিউর মাটি দিয়ে তৈরী একেবারে চকচকা উইকেটে। মেটে বল উচুতে উঠে আসে আমরা যেটা অনুশীলন করেছি, আর সেখানের উইকেট(পীচ)ছিলো মাটির তেলতেলে, ফলে বল নিচু হয়ে আসছিলো যার কারণে আমাদের খেলোয়াড়েরা খেলতে পারেনি। এছাড়া বাহ্ওয়ালপুর দল ছিলো খুবই শক্তিশালী বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি টেস্ট খেলোয়াড় দলে ছিলো।ঢাকায় অনুষ্ঠিত জোনাল ম্যাচে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের সাফল্যের নায়ক মোঃ আজিজুর রহমান চৌধুরী মিন্টুর কথা স্বরণ করে তিনি বলেন,মিন্টু খুব উচুমানের খেলোয়াড় হলেও পরবর্তিতে সে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেননি।হালকা পাতলা লম্বা ফিগারের মিন্টুর বল অনেক বাক খেতো তাই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা তার বল সহজ ভাবে খেলতে পারতো না।তিনি বলেন মিন্টু খেলায় মনোযোগী হলে অনেক উচু মানের ক্রিকেটার হতে পারতেন।তার ব্যাটেও রান আসতো।প্রায় ৬৪ বছর আগের সেই খেলার স্মৃতিচারণ ও আজিজুর রহমান মিন্টুর গৌরবময় সাফল্যে তিনিও গর্ববোধ করেন।
কিভাবে ক্রিকেটে এলেন মিন্টু :: মোঃ আজিজুর রহমান চৌধুরী মিন্টু ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার ও ক্রিকেটার শহীদুর রহমান সান্টু”র বড় ভাই। তাদের পৈতৃক বাড়ি রংপুর হলেও বাবা চাকরির করতেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে। ৪৭ সালে দেশ ভাগের পর চলে আসেন বাপদাদার ভিটা রংপুরে। এর আগে কোচবিহারের জে কিং স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বার্ষিক ক্রীড়ায় ৭৫ মিটার দৌড়সহ বিভিন্ন ইভেন্টে সাফল্য আসতে থাকায় পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলায়ও আগ্রহী হয়ে উঠেন। জীবনের প্রথম ৭৫ মিটার দৌড়ে ফাস্ট হয়ে খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন স্কুল ছাত্র মিন্টু। ৪৭ এ বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে আসেন রংপুরে। ভর্তি হন কৈলাশ বন্ধন স্কুলে। এই স্কুল থেকেই মেট্রিক পাশ করে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। এরপর আইএসসি পাশ করে ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফিতে ভর্তি হন।এরপর ৫৮এ বিএসসি,৬০ সালে সয়েল সাইন্সে এমএসসি সম্পন্ন করেন। পশ্চিম বাংলায় স্কুলে পড়াকালীন সময়ে গেম টিচার বিমলের বাবা (নাম করতে পারছিলেন না) তাকে ক্রিকেট বল ওপরে ছুড়ে দিয়ে ক্যাচ লুফতে বলতেন। এভাবেই ক্রিকেট অনুশীলনে তার হাতে খড়ি। এরপর বাংলাদেশে আসার পর রংপুরের জমিদার গোবিন্দ লালের বাসায় রশিতে বল বেধে তারে ঝুলিয়ে ক্রিকেট প্যাকটিস করতেন। এছাড়া কারমাইকেল কলেজে ফুটবলে রাইট আউট পজিশনে খেলতেন। তবে ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটই তার কাছে প্রিয় খেলা হয়ে উঠে। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর লুৎফুর রহমান মাখন তাকে ক্রিকেট খেলায় উৎসাহিত করেন। হলে থাকার রুম পাচ্ছিলেন না। এসময় মাখন তাকে ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিলে তার সয়েল সাইন্স ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্ব দেন এবং আন্ত হল ক্রিকেটে মিন্টু ফজলুল হক হলের পক্ষে খেলেন। ক্রিকেটে তার সাফল্য সবাই অভিভূত হন। সলিমুল্লা হলকে হারিয়ে ফজলুল হক হল জয়ী হলে পরদিন ভিপি নুরুল কাদের খান তার হলে থাকার সিট পার্মানেন্ট করে দেন। টিপ নর্থ হলে ৪বছর চার মাস বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের রুমে এক সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। জিল্লুর রহমান সিনিয়র হলেও আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছিলেন এই রুমে থেকেই। প্রবীণ সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসান উল্লাহ ইন্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়) মাঠে শীতের অল্প সময় ধরে ক্রিকেট খেলা হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো খেলাধূলার প্রাণকেন্দ্র। আন্ত হল ইন্টার ইউনিভার্সিটি ও প্রাদেশিক টুর্নামেন্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করতো। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে খেলোয়াড়দের তেমন সহযোগিতা বা উৎসাহ দেয়া হতো না। নেহায়েত খেলোয়াড়দের ইচ্ছা ও আগ্রহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধূলা এগিয়ে যেতো।
মোঃ আজিজুর রহমান চৌধুরী মিন্টু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দল ছাড়াও তিনি প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে ইগলেটস ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের হয়ে খেলেছেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে যান প্রশিক্ষণের জন্য। মাস ব্যাপী ওই প্রশিক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও চারজন খোদাবক্স, লুৎফুর রহমান মাখন, আলি ও কামাল এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিন জন গিয়েছিলেন। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ জনকে নিয়ে এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ হয়। সেই প্রশিক্ষণ শেষে পাকিস্তান টেস্ট দলের জন্য খেলোয়ার সিলেকশন করা হলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকেই সুযোগ দেয়া হয়নি বলে আজিজুর রহমান জানান। আর এটা ছিলো কায়দে আযম ট্রফির আগের ঘটনা।
এক নজরে মোঃ আজিজুর রহমান চৌধুরী মিন্টু :: জন্মঃ১৯৩৫ সালের ৩রা মার্চ। রংপুর। পিতাঃহাফিজ উদ্দীন চৌধুরী।
৫ভাই ও ৪বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ১৯৬৮ সালে পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করেন। স্ত্রী”র নাম জোহুরা খাতুন। তিন ছেলে তৌহিদ আজিজ চৌধুরী, তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তানভীর আজিজ চৌধুরী ও একমাত্র মেয়ে তাহমিনা আজিজ চৌধুরী। ছেলে-মেয়েরা সবাই বিদেশে বসবাস করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৯৬১ সালে ইষ্ট পাকিস্তান ওয়াপদায় ৫বছর চাকরি করে ৬৬ সালে ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট (F.I.D.C)এ যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে অবসর নিয়ে চট্টগ্রামের একটি ফার্নিচার ফ্যাক্টরীতে জিএম হিসেবে রাবার প্লান্টের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে মাইন্ডস্ট্রোক করেন। এর পর থেকেই তিনি মীরপুরে ইষ্টার্ণ হাউজিং এলাকায় বসবাস করছেন। প্রায় নব্বু্ই বছরের এই প্রবীন ক্রিকেটারকে ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু প্রদান করা হয়।