নিন্ম আয়ের মানুষদেরকে কেবল সহায়তা দিয়েই সাময়িকভাবে পাশে দাড়ায়নি, প্রধানমন্ত্রী তাদের রুটি রুজি ঠিক রাখতে সবসময় সচেষ্ট থাকেন। চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীক শ্রমজীবী মানুষদের কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, প্রধানমন্ত্রী তা খেয়াল রাখতে সবাইকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। করোনার সময়ও তার দরদ এবং আন্তরিকতা প্রকাশ পেয়েছিলো বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে চট্টগ্রাম অনেক নিরাপদ ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। এ জন্য আমি চট্টগ্রামবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। তারা এখন চট্টগ্রামের বড় বড় সব স্থাপনা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইন এখনো আনটাচ আছে, একদম নিরাপদ আছে। এটা আমাদের জন্য খুবই স্বস্তির ছিল। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে তার কারণে আমরা অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহন করতে পারিনি।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সার্ভার স্টেশন, ডাটা সেন্টার পুড়ে দেওয়ার কারণে আমাদের কিন্তু ডিজিটাল প্লাটফর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । কাস্টমস তাদের কার্যক্রম করতে পারেনি বলেই চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে। কারণ পুরোপুরি ডিজিটালি কাজ করে তারা। যদিও অনেক কষ্ট ও পরিশ্রমের পর ম্যানুয়ালি কিছু কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তারপরও এখানে অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলছে। আপনারা জানেন রেল বন্ধ হয়ে গেছে, নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ব্রিজ কালভার্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা আলোচনা করছি। আমাদের রেল আছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেলসংযোগ হওয়ার কারণে কমলাপুর আইসিডি অনেক সংকুচিত হয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট আমাদের আইসিডির ওপর দিয়ে গেছে। পানগাঁওতে কিছুটা স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছিল। করোনার সময় কনটেইনার জট হয়েছিল। অফডক, কাস্টমস, এনবিআর সাপোর্ট দিয়েছিল। সম্মিলিতভাবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। আমি মনে করি, খুব দ্রæত জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারবো।