প্রচার প্রচারণায় জমে ওঠেছে সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের নির্বাচন
চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) ২৩৪ এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণায় মুখরিত চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর-কাস্টমস, আগ্রাবাদ, খাতুনগঞ্জসহ পুরো নগরী। আগামী ২৫ জানুয়ারী বৃহৎ এ অরাজনৈতিক সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বন্দর রি-পাবলিক ক্লাবে ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ৭ হাজার ২শ (প্রায়) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ২৮টি সম্পাদকীয় এবং ৭টি সদস্য পদসহ মোট ৩৫টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে ৭০ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র ৫জন প্রার্থী মিলে মোট ৭৫জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।
নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন । বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব মিন্টুকে চেয়ারম্যান করে গঠিত কমিশনের অন্যান্যরা হলেন সদস্য সচিব চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিক এবং সদস্য হিসেবে আছেন কাজী মো. আব্দুস সাদেক নান্না, মো. আবদুল বাতেন, মো. আবু তাহের সরদার এবং উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আজিম।
নির্বাচনে মিল্টন-মোশারফ এর নেতৃত্বে একটি পরিষদ এবং খোকন-জাকিরের নেতৃত্বে আরেকটি পরিষদ মূল প্রতিদ্বন্ধীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সমর্থক ফোরাম নামে মিল্টন-মোশারফ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে কাজী খায়রুল বাশার মিল্টন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন কার্যকরী সভাপতি মোঃ শাহ আলম, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি যথাক্রমে মুহাম্মদ সেলিম, মোঃ সেলিম রেজা, মোঃ আবুল কাশেম, সিনিয়র সহ-সম্পাদক মোঃ মনজুরুল আলম ভুইয়া(নিপু), সহ-সম্পাদক পদে যথাক্রমে সঞ্জয় বৈদ্য (বাসু), মোঃ ইলিয়াছ হোসেন হাওলাদার, মোঃ আব্দুল জলিল তালুকদার, অর্থ সম্পাদক মোঃ ছাখায়েত হোসেন, শ্রম ও সদস্য কল্যান সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু, যুগ্ম-শ্রম ও সদস্য কল্যান সম্পাদক মোঃ ইসহাক মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাসেল খান, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ মোবারক আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আহসান উল্লাহ (হাসনাত), দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন রুবেল, সহ-দপ্তর সম্পাদক সুপায়ন বড়–য়া, কাস্টম বিষযক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, যুগ্ম-কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর আজাদ, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলকাছ মিয়া, যুগ্ম-বন্দর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিএম সুমন), অফ-ডক বিষয়ক সম্পাদক যথাক্রমে মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ ফোরকান, ইপিজেড বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম হাসানুজ্জামান হাসান, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মোঃ জান্নাত হোসেন, মোঃ ফয়েজুল্লাহ আল নোমান, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম মিলন, মোঃ শেখ কামাল, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, মোঃ হাসান মুরাদ।
অপরদিকে খোকন-জাকিরের নেতৃত্বে ‘বৃহত্তর ঐক্যে সমর্থক ফোরাম‘ নামক প্যানেল থেকে এ.কে.এম এনায়েত উল্লাহ খোকন সভাপতি পদে এবং মোঃ জাকির হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এ প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন কার্যকরী সভাপতি পদে মোঃ নুরুজ্জামান (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ বোরহান উদ্দিন (বাহাদুর), সহ-সভাপতি যথাক্রমে মোঃ জাফর আলম মজুমদার, মোঃ ফরহাদ আলী, দেওয়ান জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম, সিনিয়র সহ-সম্পাদক মোঃ করিমুল মাওলা (আলাউদ্দিন), সহ-সম্পাদক যথাক্রমে মোঃ হারুন বাবর, বিজন কুমার খাস্তগীর, মোঃ তৌহিদ উদ দৌজা, অর্থ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), শ্রম ও সদস্য কল্যান সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন (সেনবাগী), যুগ্ম-শ্রম ও সদস্য কল্যান মোঃ ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক মোঃ আবদুল্লাহ আল আমিন, মোঃ এনামুল হক (এনাম), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন (রবিন), দপ্তর সম্পাদক মোঃ তোফায়েল হোসেন (তপু), সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক প্রলয় কুমার বড়ূয়া, যুগ্ম-কাস্টম বিষয়ক এস এম নিশান মাহমুদ, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন (মামুন), যুগ্ম-বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস আলম মাসুম, অফ-ডক বিষয়ক সম্পাদক যথাক্রমে মোঃ মাছুম বিল্লাহ, মোঃ বাবুল হোসেন, ইপিজেড বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম (মামুন), কার্যনির্বাহী সদস্য পদে যথাক্রমে আজাদ রহমান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ফয়সাল নুর, মোঃ মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ লিয়ার হোসেন, মোঃ সেলিম রেজা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণা আর জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। সারাদিন প্রচারণা চললেও সন্ধ্যার পর মুখর থাকে আগ্রাবাদের পুরো বাণিজ্যিক এলাকা। পাশাপাশি দুই প্যানেলের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় হওয়ায় আগ্রাবাদে উৎসবের ভাবটা একটু বেশি। ভোটারদের মনযোগ আকর্ষণে চলছে মাইকিং, গানে, অফিস বাসায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে আগ্রাবাদসহ আশেপাশের এলাকা। নির্বাচনে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে চলছে সভা-সমাবেশ। অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারেও এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে খোকন-জাকির পরিষদের এনায়েত উল্লাহ খোকন বলেন, শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আমাদের প্যানেলের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ। সিএন্ডএফ কর্মচারীদের সুখে-দুঃখে বিপদে আপদে আমরা পাশে ছিলাম। তাই আমাদের প্রতি সহকর্মীদের আস্থা আছে। আমরা এখনও দায়িত্ব পালন করছি। এ সময়ের কাজকে মূল্যায়ন করে ভোটাররা তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রয়োগ করবেন ইনশাল্লাহ।
প্রতিদ্বন্ধী মিল্টন-মোশারফ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী খায়রুল বাশার মিল্টন বলেন, সহকর্মীরা আমাদের অতীত কার্যকলাপ বিবেচনা করে তাদের মূল্যাবান রায় প্রদান করবেন। এখানে সংগঠনের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নেতা নির্বাচনে আশাকরি তারা ভুল করবেন না। নির্বাচনে আমাদের প্যানেলের পূর্ণ বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব নায়েবুল ইসলাম ফটিক বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন ইতোমধ্যে আমরা সম্পন্ন করেছি। আশাকরি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় কোনোরূপ অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। এটা প্রার্থী ও ভোটারদের পারস্পরিক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ।