কর্মবিরতিতে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন, বিপাকে কাস্টম-বন্দর
সিএন্ডএফ কর্মচারীদের নানা দাবিতে সারাদেশে চলমান কর্মবিরতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের ব্যানারে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারী) সকালে শুরু হওয়া কর্মবিরতি চলবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত।
লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদন্ড আরোপের অযৌক্তিক বিধি বাতিল, আইনানুগভাবে পণ্যমূল্য নির্ধারণ, লাইসেন্স হস্তান্তর সহজীকরণসহ ৮ দফা দাবিতে দুদিনের এ কর্মসূচী পালন করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এর ফলে কাস্টমস হাউজে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরগুলোতে পণ্য খালাসও।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, কমলাপুর আইসিডি, টেকনাফ স্থলবন্দর, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের ২৭টি শুল্ক স্টেশনে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ অপারেশনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের অংশ বাদে অন্য কাজে এর প্রভাব পড়েনি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস্ এজেন্টস্ লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এ বেশকিছু আইনের সংশোধন করেছে। কিন্তু এসব সংশোধনী ব্যবসাবান্ধব নয়। কিছু ধারা নিবর্তনমূলক। লাইসেন্সিং বিধিমালার কতিপয় ধারাগুলো সংশোধন ও বাতিলের দাবিতে আমরা এনবিআরের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক করেছি। আমরা এসব ধারা সংশোধন ও বাতিলের দাবিতে গত ২২ জানুয়ারি থেকে আল্টিমেটামও দিয়েছিলাম। কিন্তু এনবিআর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।