লামায় সরিষার বাম্পার ফলনে চাষীর মুখে হাসির ঝিলিক

বান্দরবানের লামা উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নের গ্রামেই গ্রামেই ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়েছে সরিষার। তবে উপজেলার ৩৫ জন কৃষক প্রদর্শনী , ৪৭জন কৃষক বীজ ও ১৯০ জন কৃষক প্রনোদনা সহায়তায় সরিষার আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। যদি অনুকূল আবহাওয়া থাকে তাহলে সরিষার ফলন ধানের চেয়ে বেশি লাব হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তারা সরিষা ঘরে তুলেই বোরো ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করবেন।

সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরিষা চাষে ১ বিঘা জমিতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজর টাকা খরচ হয়। অথচ যদি ঠিকমত সরিষা ঘরে তোলা যায় তাহলে ৪/৫ মণ হারে সরিষা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ১৮/২০ হাজার টাকারমত।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া জানান,গত বছর এ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৭১ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আমাদের পরামর্শে ব্যাক্তিগত ভাবেও অনেক কৃষক সরিষা চাষ করেছেন। যা গত বছরের চেয়ে এবার ১০/১২ গুন বেশি হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। মোট আবাদকৃত জমির মধ্যে ৭১ হেক্টর জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি ১৮ ও বিনা ৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন এ চাষে ঝুঁকছে। অপরদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার নানাভাবে নগদ টাকা, সার,বীজ, কীটনাশকসহ প্রণোদনা দিয়েছেন।

উপজেলার দরদরি ব্লকের কৃষক মো. ইছহাক মিয়া জানান, অল্প খরচ ও সল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ।

তিনি ৫/৬ কানি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন, প্রতি কানিতে ৮/১০ হাজার খরছ হয়। মোটামুটি ফলন হলেও কানি প্রতি ১০/১২ হাজার টাকা অল্প সময়ে লাভ করা সম্বব। বাজারের নিশ্চয়ইতাও রয়েছে, তাছাড়া সরিষার বর্তমান বাজারদর এখন ভাল।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মণ বলেন, চলতি বছরে লামাতে ৭১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
অনুকূল আবাহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ অঞ্চলের প্রতিটি ব্লকের কৃষকেরা সরিষার ভালো ফলন পাবেন। প্রতিবছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। বাজারে সরিষার দাম বেশি থাকায় এবং ফল ভালো হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে। আবার বাজেরে সরিষার ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

আরও পড়ুন