চন্দনাইশে ১২দিনে ৩৬ হাজার শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের স্কুল কেন্দ্রীক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আওতায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে বরকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুমা ভট্টাচার্য, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুহাম্মদ শেখ সাদী, ডা. নাহিদ হাসান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পিযুষ চক্রবর্তী, ইপিআই রবিউল হোসেন, এইচআই ইনচার্জ পপুল চৌধুরী প্রমূখ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। ১২ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ৫৯টি কেন্দ্রে ১৮৭টি বিদ্যালয়ের মোট ৩৬ হাজার ১৪জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দিনে বরকল ইউনিয়নের ৭টি কেন্দ্রে ২২টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৬৬৩জন শিশু শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্যক্রম চলছে।
আরও পড়ুন : চন্দনাইশে ৫-১১ বছর বয়সীদের করোনা টিকা প্রদান শুরু ১১অক্টোবর – CTG SANGBAD24
১২ অক্টোবর কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে ৭টি কেন্দ্রে ১৮টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ১৯৫জন, ১৩অক্টোবর জোয়ারা ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্রে ৯টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৪৬৫জন, ১৫অক্টোবর বরমা ইউনিয়নে ৫টি কেন্দ্রে ১৭টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৩০৬জন, ১৬অক্টোবর চন্দনাইশ পৌরসভায় ৬টি কেন্দ্রে ২৯টি বিদ্যালয়ের ৫ হাজার ৫১৪জন, ১৮অক্টোবর বৈলতলী ইউনিয়নে ৬টি কেন্দ্রে ১৪টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭৬জন, ২০অক্টোবর হাশিমপুর ইউনিয়নের ৬টি কেন্দ্রে ১৮টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ২১৯জন, ২২অক্টোবর দোহাজারী পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রে ২৭টি বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৭জন, ২৩অক্টোবর ধোপাছড়ি ইউনিয়নে ২টি কেন্দ্রে ১০টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২৪০জন, ২৪অক্টোবর সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৮টি কেন্দ্রে ২৩টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৩২৯জনকে কোভিড-১৯ টিকাদান করা হবে।
টিকাদান কার্যক্রম উদ্ভোধনকালে নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, “বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো করোনার টিকা দিতে পারেনি। সে দিক থেকে আমরা টিকা কার্যক্রমে সফল। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই শিশুদের করোনা টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, “শিশুরাও কোভিডের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আর এ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কোভিডের টিকা নিয়ে নেওয়া।” এজন্য উপজেলার সকল অভিভাবককে সঠিক নিয়মে রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের শিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুমা ভট্টাচার্য বলেন, “শিক্ষার্থীরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারবে। শিশুদের এ টিকা কার্যক্রমের প্রথম ১২ দিন স্কুলে এবং পরবর্তী দুদিন স্কুলের বাইরে বিভিন্ন বুথে টিকা দেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার পর শিশুদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম সেবা দেবে।” তবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান তিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে শিশুদের ভয় কেটে যাবে এবং শিশুরা নিরাপদ থাকবে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হারও বেড়ে যাবে।”