বাঁশখালী উপজেলার শীলকুপ ইউনিয়নের ‘বাঁশখালী সরকারী বঙ্গবন্ধু স্কুল’ সংলগ্ন প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ যাতায়তের সড়কটি খানাখন্দে রুপ নিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজারের অধিক লোকজন যাতায়ত করে থাকে। জালিয়াখালী বাজারের সাথে শীলকূপের সংযোগ বিকল্প সড়কটি এখন জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুজলে ডুবে যায়। চরম দুর্ভোগে পথচারী সহ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবুল হোসেন সড়কের সলমাইন্যার টেক থেকে মনকিচর জালিয়াখালী নতুন বাজার পর্যন্ত অর্ধ-কিলোমিটারেরর সড়কটি বঙ্গবন্ধু স্কুল ও বাজারের সাথে যোগাযোগের অন্যতম পুরোনো সড়ক। গতকাল রাতের একঘন্টা বৃষ্টিতে সড়কের প্রায় ৫শ ফুট দীর্ঘ অংশ ডুবে যায়। হাঁটু জলে ঢাকা পড়ে সড়কটি। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এখনো পর্যন্ত চরম দুর্ভোগ নিয়ে হাঁটুজলে পার হতে হচ্ছে সড়ক দিয়ে। চলতি বছরের বর্ষার আগে সড়কটি সংস্কার করা না হলে চরম দুর্ভোগে পড়বে শীলকূপের বৃহত্তম জনগোষ্টি। বিশাল এলাকার লোকজনকে নানা কষ্ট আর দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজকর্মে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে। এ সড়কে যাতায়ত করে বাঁশখালী সরকারী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় ও তৎসংলগ্ন ওয়াজেদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। তাছাড়া শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাতায়তের মাধ্যমও এ সড়কটি। জালিয়াখালী নতুন বাজারের সংযোগ সড়ক দিয়ে নানা কষ্ট আর দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাতায়ত করছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুলের কেমলমতি শিক্ষার্থীরা।
স্কুল ও বাজারের যোগাযোগের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দক’সহ অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রামবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়তে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়িত। এমনকি ঐ সড়কে চলাচলরত যানবাহন যাতায়ত করতে দারুনভাবে হিমশিম খাচ্ছে।
বাঁশখালী সরকারী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, ‘এ সড়ক বিশাল জনগোষ্টির যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। স্কুল ও জালীয়াখালী বাজার সংযোগ সড়কটি বর্ষার আগেই সংস্কার না করলে লোকজন চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়বে। আমাদের স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুজলে রুপ নেয়। তাছাড়া সড়কে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালীন সময়ে পুরো সড়কটি পানিবন্ধি থাকে। সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের দাবী জানান তিনি।’
শীলকূপ ইউপির চেয়ারম্যান কায়েশ সরওয়ার সুমন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কুল সড়কটি অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সম্প্রতি সড়কটি খানাখন্দে রুপ নিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুজলে ডুবে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ সহ সড়কটি সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘বাঁশখালী সরকারী বঙ্গবন্ধু স্কুল সংলগ্ন সড়কটির সংস্কারের লক্ষ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর স্টিমিট করে পাঠানো হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে সড়কটির টেন্ডার হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুতই সড়কের কাজ করা হবে।