উন্নয়নে ছন্নছাড়া, বাঁশখালীর বাহারছড়া

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা আশরাফুল উলুম মাদরাসা থেকে মাইজপাড়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির নাম ‘ছমদ চৌধুরী সড়ক।’ ওই ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামিণ অভ্যন্তরীণ এ কাদামাটির সড়কটি গাজীর পাড়া ও পূর্ব ইলশা এ দু’গ্রামের প্রায় ৪ হাজারের অধিক জনসংখ্যার একমাত্র চলাচলের বিকল্প সড়ক। দুই যুগের বেশী সময় গড়িয়ে গেলেও কাদামাটির সড়কটিতে বসেনি কোনো পোড়া ইট! বর্ষায় জলে-কাদায় একাকার হয়ে পড়ে। দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের সড়কটি এখনো মান্ধাতার আমলের মতোই কাঁচামাটির। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি এখন দুঃখ দুর্দশার কারণ।

জানাগেছে, ওই সড়ক দিয়ে ইলশা আশরাফুল উলুম মাদরাসা, মাইজ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ইলশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪ হাজার লোক চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই যুগের বেশী সময় ধরে। এ ছাড়াও উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজ, দারুল ইসলাহ দাখিল মাদরাসা, পালেগ্রাম হাকিমিঞা শাহ সিনিয়র মাদরাসায় দুই গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে এ সড়ক দিয়ে। বর্ষায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আসার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কের কোথাও কোথাও বড় বড় খানাখন্দে রুপ নিয়েছে। সড়কে একবার পিঁচলে পড়লে সবকিছুই জলেকাদায় একাকার হয়ে যায়।

ওই এলাকার বাসিন্দা হাফেজ মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘গাজীর পাড়া ও পূর্ব ইলশা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের বিকল্প সড়ক ছমদ চৌধুরী সড়কটি। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কাদামাটির এ অভ্যন্তরিণ সড়কটিই যেন এ এলাকার গলার কাটা। বর্ষায় জলেকাদায় নাকাল অবস্থা। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট করে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। বর্ষা মৌসুমে বৃদ্ধ, শিশু, নারীসহ সাধারণ পথচারিদের চরম কষ্ট করতে হচ্ছে। এমনকি বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে এবং কাদা-পানিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে তাদের বিদ্যালয়ে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম সিকদার বলেন,’দীর্ঘ কয়েক বছর গড়িয়ে গেলেও সড়কটি সংস্কারে বিগত সময়ে কারো উদ্যোগ দেখিনি। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সড়কে মাটি ভরাটের কাজ করি। প্রায় আড়াই কিলোমিটারের কাঁচা সড়কটি সংস্কারের জন্য বাঁশখালীর সাংসদকে অবগত করেছি। তিনি বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে দেখছেন। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে থানা চিফ ইঞ্জিনিয়ার সড়কটি পরিদর্শনে আসার কথা। আশা করছি দীর্ঘদিনের সমস্যা লাঘবে সড়কটির সংস্কার কাজ খুব শিগ্রই শুরু হবে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘ছমদ চৌধুরী সড়কের বেহাল অবস্থার বিষয়ে অবগত হয়েছি। বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।’

আরও পড়ুন