চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের একজন অটোরিকশা চালক রব্বত আলী। তাকে নিজের বসতভিটার দখল ছেড়ে দিয়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার হুমকিসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় মামলাবাজ হানিফের বিরুদ্ধে। ঘাম ঝরানো কষ্টে অটোরিকশা চালিয়ে ৩ছেলে ৩কন্যা সন্তান নিয়ে কোনোরকম কষ্টে দিনাতিপাত করেন রব্বত আলী। তার বসত ভিটার ওপর কুনজর পড়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু মামলাবাজ হানিফের।
মামলার এজাহার ও অনুসন্ধানে স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হানিফ এলাকায় চিহ্নিত মামলাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু। কিশোরগ্যাং গঠন করে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল করা তার নৈমত্তিক কাজ। গত ৩/৪ বছর ধরে হানিফের নজর পড়ে অটোরিকশা চালক রব্বত আলীর পরিবারিক বসতঘর ও পাশে থাকা মৎস্য প্রজেক্টের উপর। বসতঘরে জায়গা পাবে দাবী করে ওই জায়গা তাকে আবার বিক্রি করার চাপ দেয়। সে রাজি না হওয়ায় অব্যাহতভাবে হুমকি ধমকি দিতে শুরু করে এবং মৎস্য প্রজেক্ট থেকে জোরপূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক রব্বত আলী অভিযোগ করে বলেন, হানিফ এলাকার চিহ্নিত মামলাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু। সে নিজে বাদী হয়ে তিনটি মামলা এবং তার বোন রহিমা বেগম এবং বোনের জামাই আবু ছাদেক কে ব্যবহার করে আরো দুটি মামলা দায়ের করে আমি ও আমার ছেলে মেয়েদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আমাকে ৬/৭ টি মামলা জড়িয়ে দিয়ে একাধিকবার আমার ছেলে সন্তানদের উপর হামলা করে হয়রানী করে আসছে। খোদ এলাকাবাসীর সামনে আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েকে মারধর করলেও তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা। আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় হানিফ ও তার কিশোরগ্যাংয়ের লোকজন। তারা আমাকে মারধর করে এবং ছুরিকাহত করে। ঘরের মালামাল লুটপাট করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমার মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। শুধু তাই নয় আমার ১৫ বছর বয়সী ছোট মেয়ে ওয়াসিফা আক্তার চাম্বল খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাকেও বয়স বাড়িয়ে দিয়ে মামলার আসামী করেন।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ কবির আমাদের দু’পক্ষকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করলে তাকেও মামলায় জড়িয়ে দেয়। এভাবে তার একাধিকবার হামলা-মামলা নির্যাতনে আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।