চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের ওসমান পাড়ায় (১নং ওয়ার্ড) সীমানা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আজিজুল হক (৪০) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে দিনে দুপুরে এ হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়। হামলার শিকার আজিজুল হকের স্ত্রী কাউছার আক্তার ৬জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১০/১৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে পরদিন রবিবার(১৭ মার্চ) পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন আজিজুল হকের প্রতিবেশি জালাল উদ্দিনের দুই ছেলে আল জাবের ও মোঃ পিয়াল এবং স্ত্রী শাহিন আকতার (৩৮), একই পরিবারের দিদারুল আলমের স্ত্রী জেকি আকতার (২৮), মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, ছেলে ফরিদুল আলম।
স্থানীয় ও থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ওসমানপাড়ার আজিজুল হকের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জালাল উদ্দীন গংয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে প্রতিপক্ষরা গত শনিবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজিজুল হকের বসতঘরে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে প্রতিপক্ষের কবল থেকে থেকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলার শিকার আজিজুল হক বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পরিবার সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম বলেন, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার আঘাত কিছুটা গুরুতর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, ‘সীমানা বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের স্ত্রীর এজাহার পেয়ে এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ওসি আসামী গ্রেফতারে অভিযানের কথা বললেও তা অস্বীকার করে মামলার বাদী কাউছার আক্তার বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। তারা কোনো অভিযান চালায়নি। বরং মহিলা পুলিশ ছাড়া বাড়ীতে অভিযান সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। থানা থেকে জানানো হয়েছে বর্তমানে মহিলা পুলিশ সংকট রয়েছে।
মামলার বাদি কাউছার আক্তার জানান, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মামলার ১নম্বর আসামী আল জাবের ছাড়া বাকীরা আগাম জামিন পেয়েছেন। এতে করে তিনি আবারও হামলার আশঙ্কা করছেন। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুরো পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।