১৩ বছর ধরে ঝুলে আছে চন্দনাইশের সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন

ওয়ার্ড বিভাজনের জটিলতায় ১৩ বছরেও হয়নি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দীর্ঘ সময় নির্বাচন না হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও চলছেন এখন দায়সারাভাবে। এতে ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ আর হতাশা। এ অবস্থায় দ্রুত তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচনের দাবি করছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১১ সালের জুন মাসে। নির্বাচনে আলহাজ্ব আহমদুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পার্শ্ববর্তী দোহাজারী ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের সাথে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৭ সালে দোহাজারী পৌরসভা গঠিত হয়। ওই বছরের ১১মে দোহাজারী ইউনিয়নকে পৌরসভায় উন্নীত করে সরকারী গেজেট বা পরিপত্র জারি করা হয়।

এদিকে সীমানা নির্ধারণের অজুহাতে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হাছনদন্ডী এলাকার ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে হাইকোটে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশন হলেও জবাব দাখিলের পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিপক্ষরা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতায় আটকে আছে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইটি ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করে দোহাজারী পৌরসভা ঘোষণার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকার কারণে ২০১৫ সালেও সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন হয়নি। ২০২১সালে নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত তফসিলে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাম থাকলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করা হয়।

নির্বাচন না হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছেন আলহাজ্ব আহমদুর রহমান। অপরদিকে সীমানা নির্ধারণ জটিলতা শেষে গত বছর ১৭ জুলাই দোহাজারী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা যুবলীগ সদস্য মো. লোকমান হাকিম পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের একমাস পর ১৭ আগস্ট পৌরসভা প্রাঙ্গণে পৌরসভা আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়রের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন বিদায়ী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম।

সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড বিভাজন সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম জানান, “সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করা নিয়ে আইনগত কোনো জটিলতা নেই। ইতিমধ্যে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড বিভাজন করে পুনর্গঠনের কাজ শেষ করে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশ হলে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হবে। এরপর কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।”

আরও পড়ুন