চেক প্রতারণার ৫টি মামলায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চারিয়া এলাকা থেকে কাজী কর্পোরেশন এন্ড কাজী ম্যানুফ্যাকচার (কেবিএম) নামক একটি ইটভাটার মালিক কাজী আবদুর রহিম মিজান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে চারিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া মিজান উপজেলার চারিয়া কাজীপাড়ার মৃত কাজী আব্দুল হালিমের পুত্র।
জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগ এনে মোঃ আবুল কাশেম সওদাগর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আদালতে ৫টি মামলা করেন। মামলায় মাটি ও ইট ব্যবসায়ী মিজান তার কাছ থেকে ৫১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে দাবি করা হয়। প্রতিটি মামলায় আদালতের রায়ে তার বিরুদ্ধে চেকের সমপরিমাণ অর্থদÐ ও তিন মাসে করে বিনাশ্রম কারাদÐ দিয়েছে। একইভাবে ব্যবসায়ী মোঃ আলী আকবরের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা। খোরশেদের কাছ থেকে ১০ লাখ, নুরুল আলমের কাছ থেকে ৬ লাখ, মোঃ আবছারের কাছ থেকে ১১ লাখ ২৫ হাজার,কাজী মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইনের কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকা সহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে ঠকিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মিজানের বিরুদ্ধে সকলে আদালতে মামলা করলে ওইসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক ছিল।
মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড হাটহাজারী আমান বাজার শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মেঘনা ব্যাংক থেকে কাজী কর্পোরেশন এন্ড কাজী ম্যানুফ্যাকচার (কেবিএম) ইটভাটার মালিক কাজী আব্দুর রহিম মিজান ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে। সময় মত ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় এই টাকা আরও বেড়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে মেঘনা ব্যাংক ঋণখেলাপির মামলা করেন। মামলাটি অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, কাজী আব্দুর রহিম মিজানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ৫টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারমধ্যে ৪টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।