বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাইলসের দোকান থেকে বাকিতে টাইলস, বেসিন সহ বিভিন্ন সিরামিক সামগ্রী বাকিতে ক্রয় করে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে উল্টো পাওনাদারকে মারধর ও ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হুমকি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ভিকটিম স্থানীয় আরিশা টাইলস গ্যালারীর স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুর রশিদ বাদী হয়ে ১ জুন ২০২৪ ইং তারিখে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন কে বিবাদী করে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।

বাদী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বিবাদী অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন একজন প্রতারক ও অসৎ প্রকৃতির লোক। তিনি ওয়ার্ড কমিশনার থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে মামলার বাদী প্রতিবেশী আমিনুর রশিদের স্থানীয় আরিশা টাইলস গ্যালারী থেকে বিভিন্ন তারিখে ছয় দফায় ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৩৫ টাকার টাইলস ক্রয় করে। বিভিন্ন দফায় তিনি সর্বমোট ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধ করলেও বাকেয়া থাকা ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৫৩৫ টাকা পরিশোধে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। বাদী আমিনুর রশিদ তার পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বললে তাকে গালিগালাজ, মারধরও করারও অভিযোগ এনেছে।

গত ১৬ মে ২০২৪ ইং তারিখে বিচার চেয়ে বাঁশখালী পৌর মেয়র বরাবরে অভিযোগ প্রদান করলেও সে অভিযোগে বিবাদী দেলোয়ার সাড়া দেয়নি বলে জানা যায়। সর্বশেষ ৫ জুন বাদী আমিনুর রশিদ তার সকল তথ্য প্রমান সহ স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বিবাদীর বাড়িতে গিয়ে তার পাওনা টাকা পরিশোধের অনুরোধ করলে বিবাদী দেলোয়ার হোসেন তার প্রভাব খাটিয়ে পাওনাদারকে গালিগালাজ, মারধর করে সবধরনের লেনদেন অস্বীকার করে এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমিনুর রশিদের টাইলসের দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। টাকা পাবে বলে যে মেমো আছে বলছে সব তার বানানো। আমি কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় ভাইপুত হিসেবে তাকে ব্যবসা করার জন্য টাকা ২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা দিয়েছি। সে টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।’

আরও পড়ুন