রাউজানে চোরের ছুরিকাঘাতে খামার কর্মচারী আহত

রাউজানের মোহাম্মদপুরে হানিফ চৌধুরীর গরুর খামারে চুরি করতে এসে খামারে কর্মরত এক কর্মচারীকে এলোপাতারি চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় চোরের দল। এসময় খামারের কর্মচারী মো. রণি (১৯) গুরুতর আহত হয়। তার বুকে, হাতে ও পিঠে জখম ও সেলাই হয়। তাকে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। শনিবার রাত দেড়টায় দিকে উপজেলার বিনাজুরি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের আলহাজ্ব হানিফ চৌধুরী বাড়িতে এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রনি খামারে গত তিনমাস ধরে কর্মরত আছেন। তিনি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মো. আব্দুল জলিলের ছেলে।

রণি বলেন, রাত দেড়টার দিকে বাথরুমে যেতে বের হই। এসময় বাড়ির পূর্ব দিকে দুইজন লোক দেখতে পাই। ঘরে এসে কিরিচ নিয়ে সেখানে গেলে ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আমাকে তাদের হাতে থাকা ছোট্ট চাকু (ছুরি) দিয়ে বুকে, পিঠে ও হাতে পোজ দেয়। আমাকে মাথাতে আঘাত করে। আমি মাথা ঘুরে মাটিতে পরে গেলে ওরা দুইজন পালিয়ে যায়। রণি বলেন, ওরা দুইজন মুখোশ পরা ছিল তাই চিনতে পারিনি। মনে হয় ওদের সংখ্যা দুইজন থেকে বেশি হতে পারে। বাকিরা সামনে আসেনি।

খামারের মালিক আলহাজ্ব হানিফ চৌধুরীর ছোট ভাই নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার ভাইয়েরা কেউ বাড়িতে নেই। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছিল চোরের দল। কিন্তু কাজের লোকেরা থাকায় চুরি করতে পারেনি। খামারের কর্মরত একজনকে গুরুতর আহত করে তারা পালিয়ে গেছে। আমাদের ধারণা স্থানীয় কেউ এ কাজে জড়িত থাকতে পারে। আমরা আইনের আশ্রয় নেবো।

স্থানীয় মফিজ আলম নামে এক ব্যক্তি বলেন, কয়েকমাস আগেও পাশের বাড়ি থেকে এক পরিবারের পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে। দিন দিন চুরির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। রাতে জেগে পাহারা দিচ্ছে গ্রামের লোকজন। কিন্তু তবুও অপতৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমি রাতে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি কর্মচারী ছেলেটা রক্তাক্ত অবস্থায় আছে। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। চোরের দল পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাউজান থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান ডিউটি অফিসার।

আরও পড়ুন