স্বাধীন কমিশনই বাংলাদেশের নির্বাচন আয়োজন করবে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ হবে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। এবং এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র আবারো প্রমাণিত হবে। গণতন্ত্রের রীতিনীতি চর্চা আমরা জানি। বিদেশী বন্ধুদের বলব আমাদেরকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিতে আসবেন না। এদেশ আমাদের, এখানে কিভাবে নির্বাচন হবে তা নির্ধারণ করব আমরা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে।

শনিবার চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

উপজেলা সভাপতি সামসুদ্দোহা সিকদার (আরজু) এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী যুবলীগ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়ামী যুবলীগ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগ দক্ষিণ মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, আওয়ামী যুবলীগ সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, উত্তরজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন উত্তরজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস. এম. রাশেদুল আলম। এছাড়াও সেখানে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী ও হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাব আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। আপনারা সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখবেন। আপনারা হলেন আওয়ামী লীগের ভ্যান গার্ড। বিএনপি এখন ইঁদুরের মত গর্তে ঢুকে আছে। তারা যাতে আর গর্ত থেকে বের হতে নাপারে সে বিষয়ে গভীরভাবে সর্তক থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের পারিবারিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর দরিদ্র মানুষের উপকার করে আসছি। করোনা থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সাহায্য দিয়ে আসছি। রঙ্গুনিয়ায় ৫১টি ঘর ও ২৪ টি নতুন মসজিদ করে দিয়েছি ব্যক্তিগত অর্থের মাধ্যমে। কিন্তু বিএপিকে আপনারা এ দুঃসময়ে কারও পাশে দাড়াতে দেখেন নি। এবং সেটা মাথায় রেখে আগামী নির্বাচনে আমাদের দলকে ভোট দিয়ে আবরো জয়যুক্ত করবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপির হত্যার রাজনীতি অনেক পুরোনো। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল মানুষকে জীবিত পুড়িয়ে মেরেছিল। অনেক কৃষক তাদের মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারেনি কারণ তারা সেগুলো পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আমি যুবলীগের প্রতি আহŸান জানাব আপনারা আগামী নির্বাচন নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন। আজকের এ সম্মেলনে আমাদের শপথ হোক যে, মরতে হলে মাঠে মরব তবুও পিছু হটব না।

আরও পড়ুন