প্রথম অফিস করলেন দোহাজারী পৌরসভার মেয়র লোকমান হাকিম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ লোকমান হাকিম রবিবার (২০ আগস্ট) প্রথম অফিস করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিদায়ী পৌর প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম এর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। দায়িত্বভার গ্রহণ করলেও দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারণে রবিবার পৌর কার্যালয়ে তাঁর দপ্তরে বসে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন পৌর মেয়র লোকমান হাকিম।

প্রথম দিন চেয়ারে বসে তিনি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যার আবেদন গ্রহণ করেন ও সমস্যা দ্রুত সমাধানে আশ্বস্ত করেন এবং সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সড়ক দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি ও বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দেন।

এর আগে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তাঁকে স্বাগত জানান। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দিন ব্যতিরেকে অন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর দোহাজারী পৌর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও সংগঠন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ লোকমান হাকিম বলেন, ”পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৬ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭জুলাই। নির্বাচনে জনসাধারণের উপস্থিতি ছিলো যে কোন সময়ের তুলনায় বিরল ও উৎসাহব্যঞ্জক। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সবার স্বতস্ফূর্ততায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শতকরা ৭০ ভাগ ভোট কাস্ট হয়। জনগণ আমাকে ভালোবেসে ১৯ হাজার ১০৮ ভোট দিয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। এজন্য মহান আল্লাহতায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে দোহাজারী পৌরসভার জন্য আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার দলের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি, যারা আমার বিজয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। দেশে ও দেশের বাইরে থেকে আমার জয়ের জন্য যারা দোয়া-আশির্বাদ করেছেন সেসব শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।”

দোহাজারী পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে ও সমস্যা সমাধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরো বলেন, “দোহাজারী পৌরসভাকে আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট পৌরশহরে রূপান্তর করতে দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মূল্যবান পরামর্শ ও আন্তরিক সহযোগীতা এবং দোয়া-আশির্বাদ কামনা করছি। জনগণের দেওয়া মূল্যবান রায়ের মর্যাদা রক্ষা করতে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে যথাযথ চেষ্টা করে যাবো।”

আরও পড়ুন