কালুরঘাট সেতু বন্ধ

ফেরির রাস্তায় জল, জনগণ সইছে ধকল

বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে বেড়েছে চট্টগ্রাম কর্ণফুলির নদীর পানি। আর এই পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে কালুরাটে ফেরি পারাপারে রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে। যার কারণে জনসাধারণ ও যানবাহন পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। উরু পর্যন্ত পানি মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে জনসাধরণের।

মঙ্গলবার (১আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে কর্ণফুলির নদীর দুই পাড়ের পানিই বৃদ্ধি হয়েছে। পানি অনেক উপরে উঠে গেছে। যার কারণে নদীর দুইপাড়ের যানবাহন ও জনসাধারণের ফেরিতের উঠার রাস্তা প্রায় পুরোটাই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

যার কারণে ফেরিতে করে যাওয়া ট্রাক, সিএনজি, মোটরসাইকেল, ভ্যান গাড়ি সহ বিভিন্ন পরিবহন ফেরিতে নামতে গিয়ে পানিতে এসেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো রকম ঠেলে উপরে তুলতে পারলেও উপরে উঠে আর ইঞ্জিন চালু হচ্ছে না। যার কারণে পরিবহনগুলো ফেরি থেকে নামতেও অনেক্ষণ সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।এদিকে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় সৃষ্টি হয়ে যানজট। সবমিলিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ফেরির যাত্রীদেরকে।

কালুরঘাটে জনসাধারণ ও পরিবহন চালকরা বলেন, বৃষ্টির ও জোয়ারের কারণেই মূলত পানি বেড়েছে। যার কারণেই ফেরীতে যাতায়াতের রাস্তাটা ডুবে গেছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত। অন্যথায় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, কালুরঘাট সেতুর নিচে তিনটি ফেরি ফেরি সার্ভিস চালু থাকবে। তিনটির মধ্যে দুটি ফেরি চলাচল করবে,একটি অপেক্ষমাণ থাকবে। গত শুক্রবার থেকে তিনটি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেল পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, এ কারণে সেতুটি মেরামত করার জন্য (১ আগস্ট )থেকে পরবর্তী ৩ মাস বন্ধ থাকবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট সেতুটি।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা, পটিয়ার পূর্ব ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ এবং নগরীর চান্দগাঁও ও মহোড়া এলাকার প্রায় ১০ লাখ মানুষের নদী পারাপার ও যানযাহন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতুর বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন