দাখিলে চন্দনাইশে সেরা হাছনদন্ডী মোহাম্মদীয়া এম.রহমান সিনিয়র মাদরাসা

শুক্রবার (২৮ জুলাই) এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৬টি মাদরাসার দাখিল (এসএসসি সমমান) ২০২৩ পরীক্ষার ফলাফলের চিত্রে পাসের হারে দোহাজারী পৌরসভার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাছনদন্ডী মোহাম্মদীয়া এম.রহমান সিনিয়র মাদ্রাসা উপজেলায় শীর্ষস্থান লাভ করেছে।
উপজেলায় মাদরাসা বোর্ডের অধিনে মোট ১৬টি মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৭৩২ জন। মোট পাস করেছে ৫২৪ জন এবং মোট ফেল ২০৮ জন। উপেজলায় গড় পাসের হার ৭১.৫৮%। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৪ জন।
১। হাছনদন্ডী মোহাম্মদীয়া এম.রহমান সিনিয়র মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৪৫ জন। পাস ৩৯ জন, ফেল ৬ জন। পাসের হার ৮৬.৬৭%। জিপিএ-৫ নাই।
২। জাফরাবাদ ফাযিল মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৪১ জন। পাস ৩৩ জন, ফেল ৮ জন। পাসের হার ৮০.৪৯%। জিপিএ-৫ নাই।
৩। হাশিমপুর মকবুলিয়া ফাযিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৮৫ জন। পাস ৬৭ জন, ফেল ১৮ জন। পাসের হার ৭৮.৮২%। জিপিএ-৫ এক জন।
৪। সাতবাড়ীয়া শাহ্ আমানত (রঃ) দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৬৭ জন। পাস ৫১ জন, ফেল ১৬ জন। পাসের হার ৭৬.১২%। জিপিএ-৫ নাই।
৫। পাঠানদন্ডী তাহেরিয়া ছাবেরীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৪৯ জন। পাস ৩৭ জন, ফেল ১২ জন। পাসের হার ৭৫.৫১%। জিপিএ-৫ নাই।
৬। বরকল ছালামতিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৬ জন। পাস ২৭ জন, ফেল ৯ জন। পাসের হার ৭৫.০০%। জিপিএ-৫ নাই।
৭। জামিজুরী রজবিয়া আজিজিয়া র: সুন্নিয়া ফাযিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৬৭ জন। পাস ৫০ জন, ফেল ১৭ জন। পাসের হার ৭৪.৬৩%। জিপিএ-৫ নাই।
৮। পশ্চিম এলাহাবাদ আ: সুন্নিয়া ফাযিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৪২ জন। পাস ৩১ জন, ফেল ১১ জন। পাসের হার ৭৩.৮১%। জিপিএ-৫ দুই জন।
৯। সাতবাড়িয়া বার আউলিয়া হামেদিয়া সিনিয়র মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৮ জন। পাস ২৮ জন, ফেল ১০ জন। পাসের হার ৭৩.৬৮%। জিপিএ-৫ নাই।
১০। জাহাঁগিরিয়া ছুফিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ২৮ জন। পাস ২০ জন, ফেল ৮ জন। পাসের হার ৭১.৪৩%। জিপিএ-৫ নাই।
১১। কানাইমাদারি ইসলামিয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৫১ জন। পাস ৩৬ জন, ফেল ১৫ জন। পাসের হার ৭০.৫৯%। জিপিএ-৫ নাই।
১২। বরমা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৬ জন। পাস ২৪ জন, ফেল ১২ জন। পাসের হার ৬৬.৬৭%। জিপিএ-৫ নাই।
১৩। জোয়ারা ইসলামিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৫৫ জন। পাস ৩৬ জন, ফেল ১৯ জন। পাসের হার ৬৫.৪৫%। জিপিএ-৫ এক জন।
১৪। উত্তর হারলা পূর্ব জোয়ারা মহিলা দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩০ জন। পাস ১৭ জন, ফেল ১৩ জন। পাসের হার ৫৬.৬৭%। জিপিএ-৫ নাই।
১৫৷ চাগাচর মুছাবিয়া নছিমীয়া ফাযিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ২৬ জন। পাস ১৩ জন, ফেল ১৩ জন। পাসের হার ৫০.০০%। জিপিএ-৫ নাই।
১৬। দক্ষিণ হাশিমপুর ভান্ডারী পাড়া দাখিল মাদরাসায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৬ জন। পাস ১৫ জন, ফেল ২১ জন। পাসের হার ৪১.৬৭%। জিপিএ-৫ নাই।
দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলায় শীর্ষস্থান অর্জণের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হাছনদন্ডী মোহাম্মদীয়া এম.রহমান সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বশর বলেন, “১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসাটিতে এখন শিশু শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত ৬৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সুদক্ষ পরিচালনায় অতীতের ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতার ন্যায় এ বছরও দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলায় শীর্ষস্থান অর্জণ করায় মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। শিক্ষক স্বল্পতা সত্বেও দূর্বল ছাত্র ছাত্রীদের আমরা মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর দ্বারা অনেক যত্নসহকারে পাঠদান করি। ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম ও অধ্যবসায় চালিয়ে গেলে যেকোন অসাধ্যকে সাধন করা সহজ। আজকে যে সব শিক্ষার্থী ভাল ফলাফল উপহার দিয়ে মাদ্রাসার সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, মাদ্রাসার দাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং সদস্যদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। অভিভাবকরা যদি আরো সচেতন হয় তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠান আগামী বছরেও আরো ভালো ফলাফল অর্জণ করবে ইনশাআল্লাহ। বিশ্বায়নের যুগে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আদর্শিক, সুশিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। এজন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন, শিক্ষাসফরের আয়োজন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা হাতে কলমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখবো।”

আরও পড়ুন