নিভু নিভু গ্যাস, তবু কৃতজ্ঞতা অশেষ

চাপহীন প্রেসারহীন প্রায় নিভু নিভু অবস্থায় গ্যাস পেয়েও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবহারকারীরা। কারণ গ্যাসবিহীন দুই দিনের অবর্ণনীয় কষ্টের পর সীমিত আকারে হলেও গ্যাসের দেখা মেলায় যেনো আনন্দের বন্যা বইয়ে যাচ্ছে নগরজুড়ে। বাসা বাড়ীতে প্রায় দুইদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে সোমবার (১৫ মে) বিকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বাসা বাড়ীতে কিছুটা সীমিত আকারে গ্যাসের সরবরাহ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু এখনও সিএনজি পাম্পগুলো গ্যাসের অভাবে বন্ধ রয়েছে। বাসায় গ্যাস আসলেও তাও নিভু নিভু কিংবা চাপ কম বলে ব্যবহারকারীদের অভিমত। আর রাত ১১টার পর সিএনজি পাম্পগুলোতে গ্যাস মিলবে বলে কর্ণফুলী গ্যাসি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

নগরজুড়ে দেখা গেছে, পাম্প বন্ধ থাকায় পরিবহণ সংকট। সিএনজি চালিত বাস, থ্রি হুইলার কিছুই নেই সড়কে। ফলে জনগণকে পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি। তেল চালিত গাড়ীগুলো হাঁকিয়েছে দ্বিগুন ভাড়া।

আগ্রাবাদের গোসাইলডাঙ্গার এক গৃহিনী আইরিন বলেন, রোববার সারাদিন বাসায় রান্নার চুলা জ¦লেনি। হোটেলে গিয়েও আমার স্বামী খাবার না পেয়ে ফেরত এসেছে। রাতে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে এমন আত্মীয়ের বাসায় স্বপরিবারে গিয়ে রাতের খাবার খেয়েছি। সোমবার দুপুর পর্যন্তও গ্যাসের দেখা মেলেনি। বিকালে একটু একটু করে জ¦লেছে, তবে তাতে রান্না করা খুব কঠিন।
নগরীর চৌমহনী এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, চট্টগ্রামে সমস্যার অন্ত নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সবকিছুতেই ঝামেলা। গত একমাস ধরে ওয়াসার পানির লবনাক্ততা নিয়ে ঝামেলায় আছি। তারওপর আজ দু’দিন ধরে গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা। এসব দেখার যেনো কেউ নেই। চট্টগ্রাম অভিভাবকশূণ্য এলাকায় পরিণত হয়েছে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ ইতোমধ্যে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। এটা স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। অপরদিকে রাত ১১টার মধ্যেই সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে ইনশাল্লাহ।

আরও পড়ুন