মোখায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নানামুখী তৎপরতা

ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভ্যাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে  লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া, মাইকিং, সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুতকরণ, শুকনো খাবার মজুদকরণ, ওষুধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ,আশ্রয় ও মনিরটরিং কেন্দ্র স্থাপনসহ নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে সমুদ্র উপকূলবর্তী পতেঙ্গা, হালিশহর,কাট্টলী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরাতে ঘরে ঘরে পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর নেতৃত্বে নগরীর উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ১৩ মে রাত ১টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো: তৌহিদুল ইসলাম, পতেঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মিজানুর রহমান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত; হালিশহর ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ও জেলা নাজির জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার দুপুর থেকেই আকমল আলী ঘাট, রাণি রাসমনিঘাট ও পতেঙ্গা এলাকার উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৪-৫হাজার জেলে পরিবারকে নিরাপদে অপসারণের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ উপকূলবর্তী জেলে পরিবাররের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগরীর মতো জেলার ছয়টি উপকূলবর্তী উপজেলা সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও মিরসরাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের তত্ত¡াবধানে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামে ১হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র সহ ২শ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাইক্লোন শেল্টার সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। জলায় পর্যাপ্ত শুকনা খাদ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওরাল স্যালাইন মজুদ রয়েছে।
এছাড়াও আজ সন্ধ্যায় আকবর শাহ থানাধীন ফিরোজ শাহ কৈবল্যধাম সংলগ্ন ফয়েজ লেক ১নং ঝিল এলাকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী পাহাড়ি বাসিন্দাদের অপসারণ কাজ করেছে জেলা প্রশাসন।

এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম আরডিসি নু এমং মং মারমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামিউল হিকমাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা।

আরও পড়ুন