চট্টগ্রামে গ্যাসের দেখা মিললেও চাপ নেই

প্রায় দেড় দুইদিন বঞ্চিত থাকার পর অবশেষে গ্যাসের দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩কোটি ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পর চট্টগ্রামে সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয় এবং প্রেসার ছিলোনা বলেই জানা গেছে। তারপর টিমেতারে হলেও গ্যাসের দেখা মেলায় নগরবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে। এদিকে গ্যাসের জন্য নগরীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ গাড়ীর লাইন দেখা গেছে। গ্যাসের চাপ না থাকায় দীর্ঘ সময় নিয়ে কাংখিত গ্যাস না পেয়ে গাড়ী চালকদের ফেরত যেতে দেখা গেছে। নগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পে গ্যাস নিতে আসা সিএনজি চালক আলী ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই তিনবার এসেছি এ পাম্পে। লাইন দীর্ঘ থাকায় প্রতিবারই সময় বাঁচাতে ফেরত গেছি। এভাবে চললে গাড়ী চালানো মুশকিল হবে বলেও তার দাবি।

এর আগে এলএনজি টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে টার্মিনালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এদিকে আগে থেকে গ্যাস সংকটে থাকা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংকট আরও বেড়ে যায়। এলএনজি টার্মিনালের কিছু অংশ চালু হলেও প‚র্ণ ক্ষমতায় চালু হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর (রিগ্যাসিফিকেশন) করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। টার্মিনালের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। অন্যটি সামিট এলএনজি টার্মিনাল। এই দুটি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছিল। পাঁচ বছর পরপর এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের (সংস্কার) প্রয়োজন হয়। গত ১ নভেম্বর এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়। এ সময় টার্মিনালটি গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে গত বৃহস্পতিবার টার্মিনালটি কয়েকবার চালু করার চেষ্টা করা হলেও গ্যাস সরবরাহ করা যায়নি। আবার বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গত বৃহস্পতিবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে টার্মিনালটিও খালি করা হয়। তাই গ্যাস সরবরাহও বন্ধ ছিল।

আরও পড়ুন