ডা. মোরশেদ আলী :: আইসবার্গ বা সাগরে ভেসে থাকা বরফ চাকেঁর এক অদ্ভুত তথ্য হচ্ছে মোট বরফখন্ডের বারো ভাগের এগারভাগ আমরা দেখিনা। আমরা চোখে দেখি মাত্র বারো ভাগের একভাগ।
করোনার ব্যাপ্তির বেলায় আমার হাইপোথিসিস হলো এটা আইসবার্গ এর মতোই ব্যপার। আমাদের দেশের পরীক্ষা নিরীক্ষার সীমিত সুযোগের কারনে মোট রোগীর একটা বিশাল অংশ নিজেরাই জানেন না তারা করোনায় আক্রান্ত কিংবা আমরা ও জানিনা আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমান উপসর্গবিহীন রোগী নতুন নতুন মানুষকে সংক্রমণ করছে।
আইসবার্গ এর সাথে তুলনা করলে অনুমেয় যে, প্রতিদিন যে পরিমান রোগী ডায়াগনোসিস বা সনাক্ত হচ্ছে তার এগারগুন রোগী হয়তো সনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
মনে করুন সারাদেশে এখন গড়ে হাজারের কাছাকাছি রোগী সনাক্ত হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে আরো এগারো হাজার রোগী হয়তো সারাদেশে এদিন সংক্রমিত হয়েছে যাদের বিশাল একটা অংশ নিজেরাই জানেন না যে তাঁরা করোনা আক্রান্ত, কারন-
* বেশির ভাগ উপসর্গবিহীন।
* সারাদেশে রোগ নির্নয়ের ফ্যাসিলিটি প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম।
* অনেকেই তথ্য গোপন করছেন সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার আশংকায়।
*সচেতনতার অভাব।
*টেস্টের সীমাবদ্ধতা( ভুল রিপোর্ট, স্যাম্পল কালেকশন এ ত্রুটি, দেরিতে পরীক্ষা)।
তাই প্রচুর পরিমান উপর্সগবিহীন রোগী থেকে বাঁচতে হলে দূরত্ব বজায় রাখার কোন বিকল্প নাই। আশেপাশের সবাইকে কিছুদিনের জন্য মনে মনে করোনারোগী হিসেবে সন্দেহ করে চলুন, এতে আপনারই লাভ। ভালো থাকুন।
ও হ্যাঁ, ঈদের কথা ভুলে যান, বেঁচে থাকলে ঈদ অনেক আসবে।
লেখক : মেডিকেল অফিসার, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।