লামায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলি জমি

বান্দরবানের লামা উপজেলার বৃহত্তর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের খালকুইল্যাপাড়া এলাকায় ফসলী জমি দখল ও নষ্ট করে বালু উত্তোলন করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সেখানে লাল বালুর বিশাল ৩/৪টি স্তুপ মজুদ করেছে একটি চক্র। সরকারি কোনো অনুমোদন আছে কিনা, সেটা জানেন না স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, চকরিয়াস্থ ডুলহাজারা, লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কয়েকজন মিলে ফসলী জমি বিনাশ করে ৫/৬ শত ট্রাক সমপরিমান বালু পাচারের অপেক্ষায় মজুদ রয়েছে সেখানে। খালকুইল্লাপাড়ার এলাকাটি বলা যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। জঙ্গলাকীর্ণ, রাস্তা ঘাট না থাকায় সেখানে সাধারনতঃ কেউ যাতায়ত করেন না। এই সুযোগে পরিবেশ বিদ্বেষী বালু খেকোরা, তাদের নির্ঝঞ্ঝাট কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লামাতে সাধারণ মানুষ বাড়ির উঠান সমান করার দৃশ্য পরিবেশবাদী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজর এড়াতে পারেনা। বিষয়টি কিভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নজর এড়াতে পারে(!) বলে অনেকের প্রশ্ন জাগে। একইভাবে সরকারি উন্নয়ন কাজে, রাস্তা ঘাট নির্মাণার্থে পাহাড়ের গায়ে আঁছড় লাগার সাথে সাথেই আইনের প্রয়োগ দ্রুত লক্ষণীয়। এর সাথে জড়িত ব্যক্তি বা মহলকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।

এ ব্যপারে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, সেখানে কোনো ধরনের বালু মহাল ইজারা হয়নি। যারা অবৈধ ভাবে বালু মজুদ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তিঁনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন