কক্সবাজারে বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষুদ্র মূলধন অনুদান, বিকল্প জীবিকায়নের জন্য ইকো-রিক্সা, সেলাই মেশিন ও বিকল্প জালানী এলপি গ্যাস, চুলা বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ বনবিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশ এসব উপকার ভোগীদের মাঝে অনুদানসহ সামগ্রী গুলো তুলে দেন।
এতে করে প্রায় ৫ হাজারের অধিক পরিবারের সদস্যরা স্বাবলম্বী হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
কক্সবাজারের রামু খুনিয়াপালং, সদরের সমিতিপাড়া, উখিয়াসহ আশপাশ এলাকার বনের উপর নির্ভরশীল জনগণকে বন থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেন বনবিভাগ।
ইউএসএআইডি এর ইকো লাইফ কার্যক্রম, সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প সহযোগিতায় ১৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ হিমছড়ি নির্সগ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বনবিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ও প্রকল্প পরিচালক বিপুল কৃষ্ণ দাস।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ ও হিমছড়ি সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠানে খুনিয়া পালংয় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও হিমছড়ি সিএমইসি সহ-সভাপতি আব্দুল মাবুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের
বিভাগীয় বন কমকর্তা মো. সারওয়ার আলম, নেকম উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, উখিয়া ও দারিয়ার দীঘি সহকারী বন সংরক্ষক আনিসুর রহমান, কক্সবাজার সদর সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ, টেকনাফ সহকারী বন সংরক্ষক মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, মাওলানা মোস্তাক আহমেদ ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন পানের ছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত। ভিসিএফ সদস্যদের মাঝে ক্ষুদ্র মূলধন অনুদান বিতরণ, হাতি সংরক্ষণ ও মানুষ হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে, দুটি প্রকল্পের অধীনে ৫টি রিক্সা, ৭৫ পরিবারকে ৭৫টি চুলা ও সিলিন্ডার, ২০ টা সেলাই মেশিন, হিট কুকার, ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়।