কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ”হামুন” এ ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় এক প্রলনয়কারি ঘুর্নিঝড় হামুন, কক্সবাজার সদর সহ মশেষখালী, কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে জান-মালের প্রচুর ক্ষতি করে। উক্ত ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের পাশে দাডিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, কক্সবাজার।

শুক্রবার দাতা সংস্থা মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনালের আর্থিক সহায়তায় কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় ”হামুন” এ ক্ষতিগ্রস্থ্য নিঃস্ব, দিনমুজুর, জেলে ও গৃহহীন ৩৩১ টি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ষোল লাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দিয়েছে বেসরকারী সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ মুন্জুর কাদিও আহমেদের সভাপতিত্বে ও আবু জাফর মোঃ সাদিকের সংঞ্চালনায় অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান, আলী আকবর ডেইল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর সিকদার, বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, উত্তর ধুরং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার,কুতুবদিয়া থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হামিদ, দাতা সংস্থা মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আব্দুল মতিন সরদার।

স্বাগত বক্তবে গণস্বাস্থ্য- মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টের, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মতিউর রহমান বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইতিহাস এবং কুতুবদিয়াতে কি কাজ করে তা সংক্ষেপে তুলে ধরনের। তিনি আরো বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করছি। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানরা সহযোগিতা করেছেন।

শুভেচ্ছা বক্তিতায় চেয়ারম্যান বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল প্রলয়নকারি ঘুনিঝড়ের সময় থেকে কুতুবদিয়া বাসির পাশে আছেন। আমরা এনজিও বলতে শুধুমাত্র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কে বুঝতাম। এই হামুনের ক্ষতিগ্রস্থ্য মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আব্দুল মতিন সরদার বলেন, মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল জার্মান ভিক্তিক একটি প্রতিষ্টান, বিভিন্ন দুর্যোগে দুর্গত মানুষের পাশে দাড়ান, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় থেকে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সাথে কাজ করে আসছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের মধ্যে একটি। ভবিষৎ এই ধরনের সহায়তার জন্য মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল সদা প্রস্তুত আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ঘুর্নিঝড় হামুনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে অর্থ সহায়তার জন্য গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ভুয়িসি প্রশংসা করেন। এতে করে দদ্ধ্যতা পরিহার করা যায়। ভবিষৎতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই সহায়তা কুতুবদিয়াবাসি স্মরন করবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ বলেন কুতুবদিয়া হচ্ছে আমার ২য় বাড়ী কারন আমার চাকুরি জীবন শুরু হয়েছে এই কুতুবদিয়া ১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝড়ের সময় থেকে। কুতুবদিয়া বাসির প্রতি আমার একটা সফট কর্নার আছে। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে।

আলোচনা পূর্ব শেষে কুতুবদিয়া উপজেলার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা অনুষ্ঠানটি শুভ উদ্ধোধন করেন। তিনি উপস্থিত থেকে প্রথম পর্যায়ে বিকাশ ক্যাশআউট এর মাধ্যমে ৪১টি পরিবারের মাঝে ৫ হাজার করে মোট দুই লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। বাকী উপকারভোগিদের বিকাশ প্রেমেন্টর মাধ্যমে স্ব-স্ব বিকাশ এ্যাকাউন্ডে অর্থ পৌছে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক খান, মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, ডাঃ নুসরাত জাহান তৃনা, মেডিকেল অফিসার খন্দকার মোসাব্বির হোসেন (সুইট), ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর, নুরে-আলম হিরা, এইচ আর এন্ড এডমিন ম্যানাজার, আবু জাফর মোঃ সাদিক, মিল ম্যানাজার, কুতুবদিয়া প্রজেক্ট অফিসের মিডওয়াইভ, প্যারামেডিকসহ কর্মীবৃন্দ।

আরও পড়ুন