সীতাকুণ্ডে নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারকে বিএনপি’র ঈদ উপহার

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, উপহার দিয়ে ত্যাগের মূল্যায়ন হয়না, এটা আমাদের খোঁজ নেয়ার একটি উদ্যোগ মাত্র। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে সীতাকুন্ড তথা সারাদেশের নেতা কর্মীরা যে ত্যাগ, অবদান রেখে চলেছেন সেটাকে মূল্যায়িত করার জন্য এ ক্ষুদ্র উপহার যথেষ্ট নয়। এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় কেবল। আগামীর রাজপথে সক্রিয় থেকে স্বৈরাচার পতনকে ত্বরান্বিত ও বেগবান করতে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। গণআন্দোলনে স্বৈরাচারের মসনদ একদিন ভূপাতিত হবে ইনশাল্লাহ। সেদিন সকল অন্যায় অবিচারের হিস্যা কড়ায় গন্ডায় শোধ করা হবে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলায় নির্যাতনের শিকার ১৩টি পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আওয়ামী সরকার। সরকার তাদের দখলদারিত্ব ধরে রাখার জন্য পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। এই নির্যাতনের ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। গণতন্ত্রের কবর রচনার জন্যই গুম খুনের মতো অমানবিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। বিএনপিকে নির্মূল করে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করাই এর মূল লক্ষ্য। এই ধারা বয়ে চলতে চলতে দেশ অরাজকতার ঘন অন্ধকারে ডুবে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাহউদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী মো. সুজাউদ্দীন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত উল্লাহ, বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু জাফর ভূঁইয়া, মুরাদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার কামাল, আলাউদ্দিন মাসুম, বিএনপি নেতা নুরুন্নবী সালাম, আলাউদ্দিন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন