শনিবার (১১ নভেম্বর) ভারতের কাশ্মীর অঞ্চলের ডাল লেকের হাউস বোটে আগুন লেগে নিহত রাউজান পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ঢেউয়াপাড়া গ্রামের ইমন দাশ গুপ্ত ও একই উপজেলার ৮ নং কদলপুর ইউনিয়নের ইদ্রিস খাঁন চৌধুরী বাড়ির মঈনুদ্দিনের অকাল মৃত্যুতে শোকে কাতর পরিবারসহ এলাকার মানুষ।
বেড়াতে গিয়ে দু’জনের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে দুই পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
সরেজমিনে রাউজান পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ঢেউয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পুরো গ্রাম জুড়েই সুনশান নীরবতা। গ্রামের বিমল মাস্টার বাড়ির রামকৃষ্ণ দাশ গুপ্তের একমাত্র সন্তান ইমন দাশ গুপ্ত গণপূর্ত চট্টগ্রাম বিভাগের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবার নিয়ে থাকতেন নগরীর বাসায়। স্ত্রী লোপা দাশ গুপ্তা পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। আহির দাশ গুপ্তা নামের তাদের চার বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে ইমনের। দ্বিতল বাড়ি তালাবদ্ধ।
সর্বশেষ পুজোর ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল পরিবার নিয়ে। কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখতে গিয়েছিল ইমন। কাশ্মীর থেকে তার মৃত্যুর সংবাদ আসার পর গ্রামের বাড়িতে পুজো করতে আসা মা স্মৃতি দাশ গুপ্তা বিলাপ করতে করতে ছুটে যান তার বাসায়। ইমনের স্বজনরা জানান, খুবই অমায়িক ছিলেন ইমন। গ্রামে আসলে সবার সাথে মিশতেন। তার এমন অকাল মৃত্যু সংবাদ শুনে গ্রাম জুড়েই সুনশান নীরবতা।
একই চিত্র রাউজানের ইদ্রিস খাঁন চৌধুরীর বাড়িতে। এই বাড়ির মোজাফফর হোসেন চৌধুরীর পুত্র মঈনুদ্দিন চৌধুরী গর্ণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার ছিলেন। স্ত্রী, দুই সন্তান আয়েশা (১৫) ও মোতাচ্ছিন (১০) কে নিয়ে নগরীর নাসিরাবাদের বাসায় থাকতেন। ২ নভেম্বর বেড়াতে ভারতে ছুটে যান। ১১ নভেম্বর ভারত থেকে তার মৃত্যু সংবাদে পুরো পরিবার ভেঙ্গে পড়ে। পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তানকে হারিয়ে ইদ্রিস খাঁন চৌধুরী বাড়ি জুড়ে শোকের কালো ছায়া নেমে আসে।