বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত প্রথম দফার তিনদিনের অবরোধে বিভিন্ন এলাকায় বাসে আগুন, ককটেল বিষ্ফোরণসহ একাধিক মামলা হয়েছে। চট্টগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে আসামীর দিক থেকে সবচেয়ে বড় মামলাটি হয়েছে সীতাকুন্ডে। এতে দায়েরকৃত মামলায় ২৪জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২শজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ মামলায় ১৪জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে লরির সুপারভাইজার মিনার উদ্দিন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় সীতাকুণ্ডের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সবাই বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন।
গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি’র কর্মীর হলেন মো. মামুন উদ্দিন (৩৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৪৫), মো. শামসুল আলম (৫০), মো. আকবর হোসেন ওরফে হোসেন (৩০), ইমন চন্দ্র দাশ (২০), রবিউল হোসেন সাইমন (২২), নুরুল আবছার শিপন (২১), ইমরান হোসেন (২৬), মো. ওবায়দুল হক (৫৮), মো. নুর সোলাইমান (৫২), মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৫), মো. ইমামুল হক রুবেল (৩০), মো. আব্দুল মোতালেব (৪৬) ও মো. সবুজ (৪১)।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌরসদরের পন্থিছিলা–বটতল এলাকায় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মালিকানাধীন রড বহনকারী চলন্ত একটি লরিতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে চালক ও চালকের সহকারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় লরির সুপারভাইজার বাদী হয়ে বুধবার রাতে বিএনপি–জামায়াতের ২৪ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২২৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।’
তিনি আরও বলেন, মামলার পর রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অগ্নি সন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িত বিএনপির ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ততার সত্যতা নিশ্চিতের পর এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলা ও গ্রেপ্তারের সীতাকুন্ড উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার জন্য এটা সরকারী দলের লোকজন ও পুলিশ যোগসাজশে হয়েছে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি বিশ্বাসী। সন্ত্রাস অগ্নিসংযোগ আওয়ামী লীগের মজ্জাগত ব্যাপার।
তিনি বলেন, তারা বলেছে ২জন মোটরসাইকেলে করে এসে হামলা করে চলে গেছে। তাইলে এতজন আসামী হয় কী করে ? এসব মিথ্যা মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। রাজপথে সাধারণ জনগণকে নিয়েই এ সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।