নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন রাংগুনিয়াসহ সারাদেশে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও পূজা মন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের নিরাপত্তায় বিশ্বাস রয়েছে বলেই মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পূজা করছে। এটি সম্ভব হচ্ছে কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সমৃদ্ধ হয়েছে বলে। মানুষের এখন স্বস্তি ও সামর্থ্য আছে বলেই পূজার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসব ১৪৩০ উপলক্ষ্যে রাংগুনিয়া উপজেলায় বিভিন্ন পূজো মন্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভা মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গনি ওসমানী, উত্তরজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরজু সিকদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাংগুনিয়া উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য ধর্মানুরাগী ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন নির্বাচন আসলে একটি দল মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে দেশ ভাগ করা এবং দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালায়। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি যারা করে তাদের চিনে রাখতে হবে এবং তারা যাতে কোন সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এ দেশ হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবার। সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। পূজার উৎসব শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে থাকবে তা নয়, এটা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। আপনাদের মানে রাখতে হবে ২০০১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সেসময় হিন্দুদের উপর কি অত্যাচার হয়েছিল। তারা মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমদের সরকার প্রতিবছর পূজা মন্ডপে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এবছর রাংগুনিয়ায় প্রতি পূজা মন্ডপে ১৯ হাজার টাকা দিয়েছে। আবার আমিও ব্যক্তিগত তহবিল হতে উপজেলার প্রতি পূজা মন্ডপে ৫০ কেজি করে চালের বস্ত দিয়েছি। এটা আমি প্রতিবছর করে থাকি। এছাড়াও আমাদের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি বলব আপনারা নিশ্চিন্তে পূজা করেন আমরা সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকব।

আরও পড়ুন