তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি পনের বছর অমানুষিক পরিশ্রম করে রাঙ্গুনিয়ার উপকার করেছি। এ দোভাষী বাজার অনেক আগে পানিতে ভেসে যেত যদি বøক বসানো না হত। এক একটা ইউনিয়ননে কোটি কোটি টাকার কাজ হয়েছে। রাস্তা থেকে শুরু করে আরো অনেক জায়গায় উন্নয়নের ফলে রাঙ্গুনিয়া বদলে গেছে। মানুষ এখন রাংগুনিয়া থেকে শহরে গিয়ে ঠিক সময়ে অফিসে যেতে পারে। কিন্তু পনের বছর আগে অন্য দল যখন ক্ষমতায় ছিল তারা শুধু আশা দিয়েছিল কোন কাজ করেনি। আমি অন্য দলের মত আশ্বাস দিইনি উন্নয়ন করেছি।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা ভাতার পরিমাণ এবং আকার দুটোই বৃদ্ধি করেছেন। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে ২ থেকে ৪ হাজার মানুষ নানা ধরনের উপকারভোগী তালিকায় রয়েছে। তারা এখন মোবাইলে ভাতা পেয়ে থাকে। আবার কমিউনিটি ক্লিনিকে ফ্রিতে ওষুধ দিয়ে থাকে। এ সরকারের পক্ষ থেকে নতুন বছরে ফ্রিতে স্কুলে বই দেয়া হয়েছে। যে সরকার এত সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে আপনারা অবশ্যই এ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার সুযোগ করে দিবেন।
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া লিচুবাগান চত্ত¡রে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলী শাহ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস আসগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর যে কথাটি আছে সেটা আজকে বাস্তবে রূপ দিয়েছি। এখন শহর আর গ্রামের মধ্যে পার্থক্য খুজে পাবেন না। আজকের শিশুরা ল্যাম্প বা কেরোসিনের বাতি চিনেও না। কারণ গ্রামে গঞ্জে এখন এয়ারকন্ডিশনে ঢেকে গেছে। সবার হাতে মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ, ওয়াইফাই থেকে শুরুকরে নানা ধরনের উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আপনারা পাশে থাকলে উন্নয়নের এ জোয়ার কেউ আটকাতে পারবেনা।