খাবারে বিষক্রিয়ায় বাঁশখালীতে একই পরিবারের ৫জন হাসপাতালে ভর্তি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে চাম্বল ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজল কাদের চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৫ জন সদস্যকে স্থানীয় বেসরকারী চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাম্বল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইমরুল কায়েস জানান, অসুস্থ একই পরিবারের সবাইকে চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সোমবার ভোর ৪টায় নগরির পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায় রোগীর আত্মীয়রা।
গত রোববার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব-চাম্বল ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছালেহ আহমদ মেম্বার প্রকাশ ফজল কাদের চৌধুরী চেয়ারম্যানের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনের মধ্যে ৫জনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদেরমধ্যে চিকিৎসাধিন আছেন- চাম্বলের সাবেক চেয়ারম্যান ফজল কাদের চৌধুরী (৫৬), তার স্ত্রী সেতারা বেগম (৪৫), কন্যা ফজিয়া কাদের তিন্নী (২৪), নাতনী তাওশিয়াত ইদনাত (২) ও তাদের বাড়ীর কাজের সহযোগী মো. জুনাইদ (১১)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় (সকাল ১০টা) তাদের জ্ঞান ফিরেনি বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চেয়ারম্যানের বড় ছেলে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, গত রাত সাড়ে ১০টার সময় আমার ছোট বোন সাদিয়া সোলতানা আঁখি (১৮) ছাড়া বাড়ীর অন্যরা সবাই রাতের খাবার শেষ করে। কিছুক্ষণপর আমার বাবা অসুস্থ হয় পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মা ও বোন, বোনের কন্যাশিশু ও কাজের লোকসহ সবার অবস্থা খারাপ হলে সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবা ও বোনের মেয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাদেরকে নগরির পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে জানান, ঘটনার রাত ১২টার সময় আমার ছোটবোন সাদিয়া বাড়ীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গিয়ে দেখে (চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্যেশ্যে) বাড়ীর সব দরোজা খোলা। মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় কে বা কারা। আমাদের পরিবারের সবার প্রাণনাশের জন্য হয়তো কেউ খাবারে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করবো।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান, খাবারের বিষক্রিয়ায় চাম্বলের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের অসুস্থতার খবর পেয়েছি। বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতে মালামাল খবর পেয়েছি। তবে, তাদের পরিবারের কেউ আমাদেরকে এখনো জানায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব।