বাঁশখালীতে ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে মোঃ ইউনুছ নামে এক ডিজিটাল ডাক্তার (পেনড্রাইভ ডাক্তার) কে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরীস্থ ঋষিধাম গেইট সংলগ্ন ইউনুসের স্বত্বাধিকার মেসার্স বাঁশখালী ফার্মেসীতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় চিকিৎসায় ব্যবহৃত ল্যাপট জব্দসহ ওই চিকিৎসককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাতকানিয়ায়।
অভিযান পরিচালনা শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, তিনি একাধারে বাত, ব্যাথা, মেডিসিন, মা ও শিশু রোগে বিশেষজ্ঞ। মানবিক বিভাগ থেকে এস.এস.সি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষে ২০১৩ সালে চিকিৎসা বিষয়ক ১২ মাসের কোর্স ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করেছেন। বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার চিকিৎসা পদ্ধতি কিন্তু বেশ ইউনিক। ছোট বক্সের মতো যন্ত্রের উপর রোগীর হাত রাখবেন আর কম্পিউটার স্ক্রিনে পায়ের তালু থেকে মাথা, এনজাইম থেকে হরমোন, ভিটামিন থেকে মিনারেল, অস্থি থেকে তরুণাস্থি, নার্ভাস সিস্টেম থেকে ডায়াজেশন সিস্টেম ও শরীর ডায়াগনোসিস করেন।
তিনি আরো বলেন, যদিও রির্পোটে কি বলা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনি তার মর্ম উদ্ধারে ব্যর্থ হন এবং তার কম্পিউটারে সংযুক্ত পেনড্রাইভ খুলে নেওয়া মাত্র তার যন্ত্রের কার্যকরিতা অকার্যকর হয়ে পড়ে। মূলত পেনড্রাইভ তিনি কিছু সংরক্ষিত তথ্য রোগীদেরকে ডায়াগনোসিসের নামে দেখিয়ে বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার কথা বলেন। দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ অসহায়, দরিদ্র ও গ্রামীণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন তিনি।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মোঃ ইউনুছকে তার কৃতকর্মের দণ্ড স্বরূপ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ সময় অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। জনস্বার্থে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।