চট্টগ্রামে বিএনপি’র বিরুদ্ধে দুই মামলা, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এখনও হয়নি

চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগ বিএনপি একপক্ষ আরেকপক্ষের দিকে হামলার অভিযোগ তুলেছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠ কিছুটা উত্তপ্ত। বিএনপি’র বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করতে পারেনি বিএনপি। নগরীর কোতোয়ালী থানায় এজাহার দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে বিএনপিকে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকাল ৫টার সময় চট্টগ্রাম-১০ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ীস্থ বিএনপি’র কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘটনায় একপক্ষ আরেকপক্ষকে দায়ী করছেন। একপক্ষের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুই মামলা হলেও এখনও নিরাপদে আছেন আরেক পক্ষ।

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে নগরীর খুলশী থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ৩শ জন বিএনপি নেতা কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা অপর মামলায় বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখপূর্বক ২শ জনকে আসামী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

এই বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বুধবারে লালখান বাজারে নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা একটি মামলা করেছেন। আর সন্ত্রাস ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়েছে।এরমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

অপরদিকে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও তান্ডবের বিরুদ্ধে কার্যালয়টির কেয়ারটেকার কাজী মাহমুদ হোসেন নগরীর কোতোয়ালী থানায় দুইজনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ২০০/২৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করতে গেলে কোতোয়ালী থানা এজাহারটি গ্রহণ করেনি বলে বিএনপি দাবি করেছে।

বিএনপির এজাহারটি নিয়ে যাওয়া সাবেক পিপি ও বিএনপি নেতা এডভোকেট আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা এজাহার নিয়ে কোতোয়ালী থানায় গিয়েছিলাম, ওসি ছিলেন না। ওসি তদন্ত আমাদের এজাহার গ্রহণ করেননি। তিনি বলেছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, এজাহার নেয়া যাবে না।

জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত রুবেল হাওলাদার বলেন, বিএনপি একটি এজাহার নিয়ে এসেছিলো। ওসি স্যার ছিলেন না, আমি তাদেরকে রাতে আসতে বলেছি। ওনারা আসলে মামলা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, বিএনপি এজাহার নিয়ে এসেছিলো কিনা জানা নেই। আমি থানায় ছিলাম না। পরে ফোনে কথা হয়েছে, ওনাদেরকে রাতে আসতে বলেছি।

আরও পড়ুন