প্রাণোচ্ছল ক্রীড়াঙ্গনের প্রত্যাশায় উদ্বোধনের প্রহর গুণছে দোহাজারী মডেল মাঠ

ক্রীড়াঙ্গনের উর্বর ভূমিখ্যাত চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলাধীন দোহাজারীর ক্রীড়াঙ্গনে নতুন মাইলফলক হিসেবে যুক্ত হতে যাচ্ছে দোহাজারী মডেল মাঠ। ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে যেনো অপেক্ষার প্রহর গুণছে এ মাঠ। দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল তপোবন আশ্রম সংলগ্ন খেলার মাঠের মূল কাজ শেষ। বালু এবং মাটির মিশ্রনে মাঠটিকে প্রায় তিন ফিট উঁচু করার পর রোলার দিয়ে সমতল করে মাঠের চারপাশে ফলদ, বনজ এবং ওষুধি দেড় শতাধিক গাছ রোপণের পর গাছ রক্ষায় জাল দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই মাঠটি উদ্বোধন করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শনকালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এসময় মূল মাঠের সংস্কার শেষে দু’প্রান্তে গোলপোস্ট বসানোসহ সৌন্দর্যবর্ধনে মাঠের চারপাশে গাছ রোপণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মাঠ পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামছুদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈম উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তিলকানন্দ চাকমা, সহকারী পুলিশ উপপরিদর্শক (এএসআই) মহিন উদ্দিন, কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর জমির উদ্দিন, ঠিকাদার এসএম ইউসুফ, আশ্রয়ন প্রকল্প সমবায় সমিতির সভাপতি মো. রিটন, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম প্রমূখ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পৌরসভা/ইউনিয়ন ভিত্তিক খেলার মাঠ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী পৌরসভার তত্বাবধানে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার দিয়াকুল মৌজায় প্রায় এক একর জমির ওপর মডেল খেলার মাঠ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে তপোবন আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় আশপাশের পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, সুস্থ মন ও শরীরের জন্য ক্রীড়া চর্চার বিকল্প নেই। খেলোয়াড় তৈরির উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত দোহাজারী পৌরসভায় ক্রীড়া চর্চা ব্যাহত হচ্ছে মাঠ সংকটের কারনে। মাঠ সংস্কার করায় সেই সংকট কিছুটা হলেও কাটবে। মাঠটি যাতে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। মাঠ ব্যবহারে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, তাই স্থানীয়দের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম বলেন, “যেহেতু এটা সরকারি মাঠ, তাই স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি করার সুযোগ নেই, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া কমিটি সার্বিক দায়িত্বে থাকবে।”

আরও পড়ুন