বাঁশখালীতে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা শাখাওয়াত জামাল দুলালের মতবিনিময়

বাঁশখালীতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেন বাঁশখালী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত জামাল দুলাল। ইঞ্জিনিয়ার শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সোমবার বিকেলে পৌরসভাস্থ ক্যাফে আমান রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শাখাওয়াত জামাল দুলাল।

এ সময় তিনি বলেন, আমার শৈশব, কৈশোর যৌবনের সবটুকু সময় দলের জন্য দিয়েছি। জীবনের শেষ পর্যন্ত আছি। আসলে বাঁশখালীতে বিএনপির নেতৃত্ব সংকট নাই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দল যদি মুল্যায়ন করে তাহলে বাঁশখালীর বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করবো। আমি অতি উচ্চ বিলাসী লোক নই, দল যদি আমার প্রয়োজন মনে করে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, দলের কল্যাণে কাজ করবো। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠালগ্নে চট্টগ্রাম কলেজ শাখার সভাপতি এবং একই সাথে কোতোয়ালি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৮৩ সালে ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হই, পরে সভাপতি দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ চট্টগ্রামে এবং নিজ উপজেলা বাঁশখালীতে ছাত্রদলের মজবুত ভিত্তি স্থাপন করি।

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করি। ১৯৮৭ সালে বাঁশখালী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব নিয়ে পুকুরিয়া থেকে পুইছড়ি ইউনিয়ন পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৯১ সালে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে নীরেট ভূমিকা রাখি এবং সেই সাথে ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৬ সালে আমি বিএনপি থেকে নমিনেশন চাই কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে আমি সদ্য প্রয়াত সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সমথর্ন করি এবং তাকে বিজয় করার জন্য প্রত্যেকবার উনার পক্ষে কাজ করি। ১/১১ এর পর দল আবার নেতৃত্ব শুণ্যতায় পড়লে আমি আবার দলের তৃনমুল নেতাকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়াই।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনেও তিনি নমিনেশন প্রার্থী ছিলেন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তিনি প্রয়াত আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেন। এখন আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুর পর দলে আবার বিভেদ অনৈক্য ও নেতৃত্ব সংকট দেখা দেওয়ায় বাঁশখালী বিএনপির একজন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের এই দুঃসময়ে ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়, তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের আবারও সু-সংগঠিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের গণতন্ত্র পুনঃ উদ্ধার ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে দল অংশ নিলেই দল থেকে তিনি প্রার্থী হবেন। তবে দল যাকে নমিনেশন দিবেন অতীতের মত তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য নিরলস কাজ করে যাবেনও বললেন তিনি।

এ সময় বাঁশখালী বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও বাঁশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন