পল্টনের তালা খোলার মানুষ নেই, নির্বাচন করবে কিভাবে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। অথচ তাদের সঙ্গীরা তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে ৬ টা দল ১২ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে গেছে। যাদের নয়া পল্টন কার্যালয়ের তালা খোলার মানুষ নেই তারা আবার কি নির্বাচন করবে।

আজ রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইসরাইলিরা ফিলিস্তানের ১৪ হাজার মানুষ মেরেছে। তার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। তা নিয়ে ইসরাইলে বসবাসরত ইহুদীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু ইসরাইল ও তাদের সমর্থকদের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখতে তা নিয়ে বিএনপি কোন বিবৃতি দেয়নি। তাদের পক্ষে কিভাবে দেশের মানুষ থাকবে। অথচ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও দলের পক্ষে থেকে আমি প্রতিদিন প্রতিবাদ জানিয়েছি। তারা এখন ইঁদুরের মতন গর্ত থেকে বের হয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। তাদের কর্মসূচি হচ্ছে আন্দোলনের নামে গাড়ি পুরানো আর মানুষ হত্যা করা। এমন কি তারা বিদ্যালয়ে পর্যন্ত আগুন দিয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রামের সাগরের তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হয়েছে। ১৩৩ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন চালু করা সমীক্ষা হয়েছিল। এরপর ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান হয়েছে, পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছে। তার পর সাড়ে ৩ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে যার কারণে তখনও সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সে স্বপ্নও সত্যি হয়েছে। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ অভূতপূর্ব উন্নয়নে বিরোধীতাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে টানেল কিংবা কক্সবাজার ট্রেনে উঠতে অনুরোধ জানিয়েছেন। কারন তারা পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে জনসভায় যায় আর সেখানে বক্তব্যে বলে দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন নির্বাচন কে বাধাগ্রস্ত করতে দেশ বিদেশে অনেক অপতৎপরতা চলছে। তা স্বত্তেও নির্বাচন নিয়ে যেভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃস্টি হয়েছে তা অভাবনীয়। আমি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নমিনেশন ফরম কিনতে গিয়েছি সোয়া কিলোমিটার হেঁটে। কারণ গাড়ির এতো চাপ ছিল গাড়ি নড়ছিল না। পরে সচিবালয়ে যাওয়ার সময়ও হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছি।

উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি এম ইসকান্দর মিয়া তালুকদার এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি উদ্বোধক এবং সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী পৌরসভার মেয়র শাহজাহান শিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য আলীশাহ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকতার হোসেন খান বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী মৎসজীবী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পরে তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন