চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন নিরব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যিনি বঙ্গবন্ধুকে সার্বক্ষণিক সাহস অনুপ্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছিলেন। বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস। ইতিহাসে ফজিলাতুন ন্নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিনীইনন বাঙ্গালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম এক প্রেরণাদাত্রী। বাঙ্গালি জাতির সূদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন এবং ছায়ার মত অনুসরণ করছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন ন্নেছা ছিলেন বিজয়ী লক্ষী নারী।
সোমবার (৮ আগস্ট) সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেচ্ছার মুজিব এর ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে মহিয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক নেতার হত্যকান্ড ঘটেছে, কোনটাতেই নেতার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে এমন নজির নেই। বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করতেন না, তা হলে কেন হত্যার শিকার হলেন? এটি উপলদ্ধির বিষয়। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও তিনি সময়কে বুঝতেন। কোন সময় কি কাজ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী প্রয়োজন তা উপলদ্ধি করতে পারতেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন জেলখানায় ছিলেন, বেগম মুজিব তাঁকে কাগজ কলম দিয়ে এসেছিলেন, বলেছিলেন লেখেন আপনি পারবেন, আপনার অনেক কিছু লেখার আছে” বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যেমন বিশ্বের সেরা ভাষণ হিসেবে স্বৃীকৃতি পেয়েছে, তেমনি তাঁর অসমাপ্ত আতœজীবনী একদিন সেরা আতœজীবনী হিসেবে স্বৃীকৃতি পাবে। এই উপলদ্ধিতা বঙ্গবন্ধুকে আসল কর্মপ্রস্থা গ্রহন করতে সাহায়ক হবে। বেগম মুজিব থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়ার আছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করনে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন ন্নেছার ৯২তম জন্মদিনে চসিকের অন্যন্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ৯টা খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত। মুনাজাত পরিচালনা করেন চসিক মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী। এছাড়াও নগর ভবনে স্থাপিত বেগম ফজিলাতুন ন্নেছার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, লায়ন মো. ইলিয়াছ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নুরুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, তসলিমা বেগম নুরজাহান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের প্রমুখ।