দেশের মানুষ ভোট উৎসবে মেতে ওঠেছে। জনগণ তাদের রায় দিয়ে আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনায় জনবান্ধব নেতাকেই নির্বাচিত করবে। সেখানে ট্রেনে গাড়ীতে ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়ে ভোট উৎসব থামানো যাবে না। বরং নিজেদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গী তৎপরতার জন্য এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৬ জানুয়ারী) ভোটের আগেরদিন চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে কেউ রেহাই পাবে না। যতবড় নেতাই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। আগুন সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা হবে। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেয়া যায় না। নির্বাচন নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচন্ড সদিচ্ছা ও আগ্রহ তৈরী হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভূক্ত এবং ওআইসিভূক্ত দেশগুলো থেকে শুরু করে অনেক দেশ ও সংস্থা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যাপক হারে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।
আশা করছি, আগামীকাল (৭ জানুয়ারি) দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মত দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। এ সময় তথ্য মন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, যেখানেই আগুন সন্ত্রাসীদের পাবেন, সেখানেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবেন।
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, চসিক কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।
জামাত বিএনপি এখন লাপাত্তা। তারা ২০১৪ সালেও চেষ্টা করেছিল ভোট উৎসব ঠেকাতে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৮ সালে অংশগ্রহণ করে জনরায়ে প্রত্যাখাত হয়েছে। এবারও চেষ্টা করেছে কিন্তু জনগণ তাদের পাশে নাই। সুতরাং আজকের ভোট উৎসবে তারা হারিয়ে গেছে, কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের।