নেতাকর্মীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরেছে নগর বিএনপি কার্যালয়ে

বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা

দেড় মাস পর নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হলো চট্টগ্রাম নগর বিএনপি’র কার্যালয়। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তালা দেয়া অফিস প্রাঙ্গণ এতদিন ছিলো নিরব নিস্তব্দ। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলীয় অফিস নাসিমন ভবনের মাঠে প্রকাশ্যে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে নিরবতা ভেঙ্গে মুখর হয়ে ওঠেছে দলীয় প্রাঙ্গণসহ আশেপাশের এলাকা।

সরকার পতনের দাবীতে চলমান হরতাল অবকরোধেও কোন নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু নেতাকর্মী মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে গত দেড়মাস অবরোধে ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। দলীয় কার্যালয় বন্ধ এবং নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতিতে দুই দফা বিএনপির কার্যালয়ে নাসিমন ভবনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ যুবলীগ। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এর কারণে ২৪ ঘন্টায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ প্রহরায় ছিল। দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা পুলিশ পালাক্রমে বিএনপি অফিসের সামনে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় নগর বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেনসহ আত্মগোপনে থাকা অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে এসেছিলো। এরপরও গত দুইদিনের অবরোধে আবারও তারা আত্মগোপনে চলে যায়। যথারীতি চলে ঝটিকা মিছিল। সেই ধারা ভেঙ্গে আজ দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে প্রাণ ফিরে পেয়েছে দলটি।

এদিনের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় সভায় ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, া১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, আজকে বর্তমান সরকারও একই কায়দায় মানুষের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। আজকেও একইভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। এ হত্যাকান্ড গুম খুন একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী ঘোষণা করতে শত কোটি টাকা নষ্ট করে নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে অটোপাস নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে রাতের ডাকাতির পর এবার আরেকটি ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মোঃ জানে আলম।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, জসিম উদ্দিন শিকদার, নিয়াজ মোঃ খান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, এড. আবু তাহের, এড. আবদুল মান্নান, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, ইপিজেড থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ, চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া প্রমূখ।

আরও পড়ুন