ভূমি মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা কার্যক্রমকে চাকরী কিংবা ব্যবসা হিসেবে চিন্তা করলে হবে না। এটা অন্য আর দশটি পেশার মতো নয়। এখানে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন নিয় কাজ করতে হয়। তাই এ খাতে সেবা নিশ্চিত করা গেলে মানুষ বিদেশমুখী হবে না। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীদের অবদানে তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ এ হাসপাতালের গর্বিত অংশীদার। আমি চিকিৎসক এবং পরিচালকদের অনুরোধ করব চিকিৎসা সেবার মান আরো উন্নত করতে এবং রোগীদের যত্ন নিতে। সরকার চিকিৎসাখাতের উন্নয়নে নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু এ সুফল মানুষকে পেতে হলে আপনাদের আন্তরিকতা জরুরী
রবিবার (৫ নভেম্বর) নগরীর আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল’র একটি প্রকল্প ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম. এ. মালেক’র সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মোর্শেদ হোসাইন, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ বক্তৃতা করেন। এসময় হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তার, নার্স ও সাধারণ জনগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বাইরে অনেক প্রবাসী ভাই বোন আছেন যারা অনকোলজি বিশেষজ্ঞ। তাঁরা যদি মাঝে মাঝে এসে এখানে রোগীদেরকে সময় দেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন তাহলে হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। এখানে রোগীদের স্বল্পব্যয়ে চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। কারণ যাদের পয়সা অনেক তারা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারে কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে যারা একটু পিছিয়ে তারা যেন পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা এখান থেকে পায় সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের বদৌলতে চট্টগ্রাম সবদিকদিয়ে এগিয়ে। এখানে কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। ফ্লাইওভারের কাজও শেষ পর্যায়ে। আবার ক্যান্সার হসপিটাল ও রির্সাচ সেন্টার উদ্বোধনের মধ্যেদিয়ে চিকিৎসাসেবার দিকদিয়েও এগিয়ে গেছে।
ক্যান্সার রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক লিনিয়ার এক্সিলেরাটর মেশিনসহ ক্যান্সারের সকল যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। রোগীদের জন্য এখানে সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ আইসিইউ, কেবিন, সাধারণ শয্যাসহ ১১ তলা ভবনের মোট ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে।