কাজের দরদ ও গতি দুটোই বাড়াবে কল্যাণ ফাউন্ডেশন : বন্দর চেয়ারম্যান

কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ইতিবাচক কার্যক্রম বন্দরের কর্মকান্ডে কর্মকর্তা কর্মচারীদে দরদ যেমন বাড়াবে, তেমনি কাজের গতিশীলতায় যোগ হবে নতুন মাত্রা। যেহেতু “ চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন“ দুর্যোগ দূর্বিপাকে কর্মচারীদের পাশে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে, সেহেতু তারাও উদার চিত্তে কাজে মনোনিবেশ করবে সেটাই স্বাভাবিক। পেশাগত কর্মযজ্ঞে মানবিকতায় যুক্ত হওয়ায় কাজের মান ও পরিবেশ দুটোই উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বন্দর চেয়ারম্যার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

গত ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ১৩৬তম বন্দর দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি “ চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনে“ ৫০ লাখ টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এ সময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

“চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন” এর লোগো উন্মোচন ও চেক হস্তান্তরের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রাণ। আর দেশের এই প্রাণকে এক সেকন্ডের জন্যও প্রাণহীন হতে দেয়না বন্দরে নিয়োজিত প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী। আপনারা জানেন কোভিড-১৯ মহামারির মাঝে চট্টগ্রাম বন্দর এক সেকেন্ডের জন্যও বন্ধ হয় নাই। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের কল্যাণে বন্দরকে সচল রেখেছে প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী। অর্থের সীমাবদ্ধতার জন্য অনেকের দুরারোগ্যে চিকিৎসার খরচ বহন করতে কষ্ট হয় বা অকালে মৃত্যূবরণ করেন। অনেকে যথাসময়ে চিকিৎসা নিতে না পারায় পঙ্গুত্বও বরণ করেন। তাই এই কল্যাণ ফাউন্ডেশন আমার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্য। তাদের সুখে দুঃখে পাশা থাকা বন্দরের দায়িত্ব।

কল্যাণ ফাউন্ডেশন নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ নায়েবুল ইসলাম ফটিক বলেন,” আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া, এই রকম একটি মহৎ কাজের সাথে আমাকে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি। ১৩৬ বছরে যা হয়নি, তা তিনি নিজ হাতে করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলেন। এই বন্দর যতদিন থাকবে ততদিন চেয়ারম্যানের এই অবদান মনে রাখবে। সেই সাথে বন্দরের পরিচালক প্রশাসন মোমিনুর রশিদকেও ধন্যবাদ, যার পরিশ্রমের সার্থকতা এই কর্মচারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ(সিবিএ) এর পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা কর্মচারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মচারীদের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণ সাধণের লক্ষ্যেই মূলত কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠিত হয়েছে। কর্মচারীদের চিকিৎসা, আবাসন ও বিশেষ সমস্যায় সহযোগিতা করার পাশাপাশি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অবদান রাখতেও এ সংগঠন কাজ করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীরাই এ সংগঠনের সদস্য।

আরও পড়ুন