দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্ধার চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন ও অগ্রগতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট চিন্তার ফসল। প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগীতামূলক বিশে^ বন্দরকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সবসময় নানা কর্মপন্থা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে বলেই আজকে চট্টগ্রাম বন্দর স্মার্ট বন্দর হিসেবে বিশ^ দরবারে পরিগণিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিম মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেটে বসানো স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরে স্ক্যানার বসাতে হবে প্রথম এ চিন্তা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের সুনিবিড় যোগসূত্র স্থাপনেও প্রধানমন্ত্রী নানা নির্দেশনা দিয়েছেন, যা বাস্তবায়িত হয়েছে বলেই আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হয়ে গেলে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা অন্যরকম উচ্চতায় চলে যাব। বে-টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহজ আসবে। মেরিটাইম সেক্টরে আমরা সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছি। ডেনমার্ক পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব আরও বিনিয়োগ করতে চায়। তারা মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ। দেশ বিক্রি করার চুক্তি আমরা কারও সঙ্গে করিনি, করবোও না।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আজিম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, বন্দর সিবিএ নেতা নায়েবুল ইসলাম ফটিক।
উল্লেখ্য, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় সংগৃহীত এফএস৬০০০ মডেলের রেডিও একটিভ পোর্টাল মনিটর সমৃদ্ধ এ স্ক্যানার ঘণ্টায় ১৫০টি কনটেইনার স্ক্যান করতে পারে। ইস্পাতে এক্স-রে অনুপ্রবেশ ক্ষমতা ৩৩০ মিলিমিটার। ডুয়েল এনার্জির এ স্ক্যানার বোথওয়ে স্ক্যানে সক্ষম। উচ্চতর স্ক্যানিংয়েও এক্স-রে চিত্র অবিকৃত থাকে। জৈব, অজৈব ও মধ্যবর্তী উপাদান নির্দিষ্ট রঙে চিহ্নিত করে। ফলে আইজিএম বহির্ভূত পণ্য শনাক্ত করা যাবে। ট্রেইলার চালক সরাসরি স্ক্যানিং টানেলের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালাতে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেইনার স্ক্যান হয়ে যায়। কনটেইনার নাম্বারও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত হয় স্ক্যানারে। স্থাপন করা হয়েছে ৪টি ইমেজ মনিটরিং সেন্টার ও রিয়েল টাইম সিসিটিভি সিস্টেম।