সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশ না মানার অভিযোগ ওঠেছে সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার খাঁ সড়কের হারামিয়া মৌজার হারামিয়া জেএল নং-৩৯, আরএস দাগ নাং-৪৯২ (অংশ) বিএস দাগ নং ২২২৫০, ২৩১৬২ (প্রতি অংশ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা। তার পিছনে ব্যাক্তি মালিকানাধীন আবাসিক ভুমি রয়েছে। সেই ভুমির মালিক আশ্রাফ উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি তার নিজস্ব আবাসিক বসত ভিটায় যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত দাগের জায়গা নিজের নামে ইজারা (বন্দোবস্তি) দেয়ার জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর প্রতি আবেদন করলে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর সওজ আবেদন মঞ্জুর করে হলফনামা, চুক্তিনামা ও শর্ত মোতাবেক উল্লেখিত অংশের জায়গাটি আশ্রাফ উদ্দিনকে ইজারা দেন। কিন্তু উল্লেখিত জায়গাটি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের দখলে থাকায় আশ্রাফ উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (স্মারক নং ০০, ২০, ১৫০০, ৫০২, ২৯, ০০৬, ২৩/৭০৩ মুলে ১১/০৬/২০২৩ ইং তারিখে এক পত্রে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে উল্লেখিত জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার মিরাজ (পিতা আবু তাহের) এর নির্মাণ করা স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন।
ইজারাদার আশ্রাফ উদ্দিন অভিযোগ করেন, অবৈধ দখলদার জায়গাটির উপর বর্তমানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করে আছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশের ৪/৫ মাস অতিবাহিত হলেও সন্দ্বীপের ইউএনও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেনি। ফলে অবৈধ স্থাপন নির্মাণের কারণে তার যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বার বার ইউএনও’র সাথে দেখা করে অনুরোধ করার পরও রহস্যজনক কারণে ইউএনও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, ওই জায়গাটি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সময় হলে আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবো। তিনি বলেন উচ্ছেদ করার জন্য আমাকে কোন সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। আমরা আমাদের সুবিধামত সময়ে উচ্ছেদ করবো।