উত্তাল চবি ক্যাম্পাস, ভিসির বাসভবন ও অর্ধশতাধিক বাস ভাংচুর
শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হঠ্যাৎ করেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা।একজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করা করে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বটতলী থেকে যাত্রা শুরু করলে চৌধুরীহাটের কাছাকাছি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং ৬-৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক। লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে ৩ জনকে।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহপাঠীদের রক্তাক্ত ছবি দেখে মুহুর্তের মধ্যে ক্যাম্পাসে আন্দোলন গড়ে তোলেন চবি শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরে(গুজব)। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মেজাজ হারিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আগুন জ্বালিয়ে জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পুলিশ বক্স ভাংচুর করে। ভাংচুর শেষে মিছিল বের করে ভিসির বাসভবনে গিয়ে ভাংচুর চালায় ও পরে বাস টার্মিনালে অবস্থারত প্রায় অর্ধ শতাধিক বাস ভাংচুর করে।
ট্রেনের ছাদে বসা বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০-২১ সেশনে শিক্ষার্থী পিয়াস বলেন, ষোলশহর স্টেশন থেকে শাটলে জায়গা না পেয়ে আমাদের ডিপার্ট্মেন্টের কয়েকজন ছাদে উঠি।চৌধুরী হাটের কাছাকাছি আসলে হঠ্যাৎ করে একটা গাছের ডাল এসে আমাদের সাথে ধাক্কা লেগে সামনে বসা সাঈদ ভাই,বিল্লা ভাই,বিপ্লব ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমি পিছনে থাকায় আমার তেমন ক্ষতি হয়নি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এসব ঘটে যায়। আশেপাশে তাকিয়ে সবারই একই অবস্থা লক্ষ্য করি। অনেকেই ট্রেন থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। আমরা চেচামেচি শুরু করে শব্দ করতে থাকি। পরে ট্রেন ফতেয়াদ স্টেশনে থামলে আহতদের মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ক্যাম্পাসে সহিংসতা প্রসঙ্গে সহকারী প্রক্টর রোকনউদ্দীন বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।