দেশি বিদেশী সবাই বিএনপিকে হতাশায় ডুবিয়েছে : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
বিএনপির অনেক আশা ছিলো, মার্কিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল নির্বাচনকালীন সরকার ও তত্ত¡াবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলবে। মার্কিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা তত্ত¡াবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলেনি তাই, বিএনপি হতাশ।
আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আপনারা জানেন, বিএনপি দিনের বেলায় তারুণ্যের সমাবেশ, হাঁটা কর্মসূচী, মাঝে মধ্যে দৌঁড় কর্মসূচী করে। আর রাত-বিরাতে মহিলা নেত্রীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্না দেয়। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, দূতাবাসে ধর্না দিয়ে কোন লাভ হয় নাই। তাই মীর্জা ফখরুল সাহেব শ্রমিক সমাবেশে এসে কথা ঘুরিয়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা বিদেশি শক্তির উপর নির্ভর করি না। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে তাদের করা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবী বিদেশিরাও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাথে আমাদের দলের সাক্ষাৎ হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে তথ্য মন্ত্রী হিসেবে আমার সাথেও সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশে যেন সংবিধান মেনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সেটি আমরা চাই। তারা তত্ত¡াবধায়ক সরকার কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোন কথা বলেননি।
আপনারা জানেন, যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে তখন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে দিয়ে এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও ফোন করা হয়েছিল বিচার বন্ধ করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে সমস্ত ফোনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বিচারের রায় কার্যকর করেছেন। যুক্তরাজ্যে, ভারতে, জাপানে, অস্ট্রেলিয়ায়, নিউজিল্যান্ডে, জার্মানিতে, ফ্রান্সে, সুইডেনে এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করেন। সুতরাং, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দেশেও আগামীর নির্বাচনে বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল ঢাকায় উপনির্বাচন হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রার্থী জয়লাভ করেছে। অনেকে বলবেন, ভোট কাস্ট কম হয়েছে। নির্বাচনের ৫ মাস আগে কোন উপ নির্বাচন হলে সবসময়ই ভোট কাস্ট কম হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও তাই হয়। যিনি নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি মাত্র কয়েক মাসের জন্য নির্বাচিত হচ্ছেন। সে জন্য ভোট কাস্ট কম হওয়াটাই স্বাভাবিক, বেশি হওয়াটা বরং অস্বাভাবিক। সুতরাং গতকালের ভোটও চমৎকার হয়েছে। এই চমৎকার ভোট গ্রহণকে কালিমা যুক্ত করার জন্য হিরো আলমের উপর হামলা করা হয়েছে। এ হামলা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। সরকারকে এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ হামলা পরিচালিত হয়েছে। আমরা এ হামলার তিব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ হামলাকারীদের অনেককে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক আজম নাছির উদ্দিন, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ প্রমূখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।