চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট সমাধানে তড়িৎ ব্যবস্থা চায় ক্যাব
চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাসাবাড়ী ও সিএনজি স্টেশনে দ্রুত স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৫) ক্যাব নেতৃবৃন্দ কর্নফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানাী লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে দেখা করে এ দাবি তুলে ধরেন। কেজিডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এসময় সমস্যা সমাধানে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অংশ নেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোঃ জানে আলম, ক্যাব যুব গ্রুপ বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএন রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমূখ। এ সময় কেজিডিএল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস’র মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ রইস উদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে বসতবাড়ীতে ৫ লক্ষ ৯৭ হাজার সংযোগ আছে, যেখানে গ্যাসের চাহিদা প্রায় দৈনিক ৫০ মিলিয়ন ঘনমিটার। ঘুর্নীঝড় মোখার কারনে বাসাবাড়ীতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় প্রতি পরিবারে ২ দিনে প্রায় ৪ হাজার টাকার মতো অতিরিক্ত অর্থ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া গলাকাটা দামে বিভিন্ন চুলা, কেরোসিন তেল, সিলিন্ডার ক্রয় করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অপরদিকে সিএনজি পাম্পে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সড়কে গণপরিবহন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষকে বৃষ্টির মধ্যেও কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। মন্ত্রী ও কেজিডিসিএল এর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় না থাকায় গ্যাস সংকট স্বাভাবিক নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের কারনে গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। তাই সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার প্রেক্ষিতে কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, অতিদ্রæত চট্টগ্রাম নগরে বাসাবাড়ীতে ও সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ইতিমধ্যেই গ্যাস সংযোগ স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঘুর্নীঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মহ্শেখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালগুলো নিরাপদে সরানো হয়। যার কারনে চট্টগ্রামে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয় এবং গ্রাহকদেরকে অবহিত করা হয়। পত্রপত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।