সরকার চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছে। খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর সরকার ৫ শতাংশ রাজস্ব কর হ্রাস করেছে। কিন্তু দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে তার কোনো প্রভাব নেই। উল্টো কমার পরিবর্তে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারে দুই টাকার কাছাকাছি, পেঁয়াজের দামও আগের মতোই অস্থির। কিন্তু মূল্য পরিস্থিতি ভোক্তার কাঙ্ক্ষিত নাগালের কাছে–মধ্যেই আসছে না। ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার আদা-মসলা, আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেবার কারনে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যহত হচ্ছে বলে দাবি করেছে ক্যাব। রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে রিকসা মিছিল ও মানববন্ধনে ক্যাব চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ক্যাব যুব গ্রæপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় রিকসা মিছিল ও মানব বন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ ইদ্রিস আলী, ন্যাপ কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম, ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবম হুমায়ুন কবির, ক্যাব হাটহাজারীর লায়লা ইয়াছমিন, ক্যাব যুব গ্রæপের রাসেল উদ্দীন, এমদাদুল ইসলাম, আবরারুল করিম নেহাল, আরাফাত হোসেন, সাফার আহমেদ, তানিয়া সুলতানা, রাকিবুল ইসলাম, আতিশ বড়ূয়া, কোবাইস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর যুক্তি রমজানে একমাস ব্যবসা করবে, ১১ মাস বসে থাকবো। সেকারনে রমাজান মাসে মৌসুমীর ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অংক বাড়ে। এবারও তারা একই কায়দায় ক্রেতাদের পকেট কাটছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেই ধর্মঘটসহ নানা হুমকি প্রদান করছে। অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারনে তারা বার বার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে।